২রা মে বিদেশ সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারের বিদেশসফরে তাঁর গন্তব্য জার্মানি, ডেনমার্ক ও ফ্রান্স। ইতিমধ্যেই জার্মানি পৌঁছে বার্লিন শহরের এক সম্মেলনে যোগদান করেছেন মোদী। এখানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র কথা বারংবার তুলে ধরেন। নতুন কোনও পদক্ষেপ নিতে ভারত ঝুঁকি সত্ত্বেও পিছপা হয়না। দেশের আত্মনির্ভরতা ক্রমশ তার চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে –সেই দিকটিই নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। তিনি প্রশাসনিক ব্যবস্থার সাথে উন্নত প্রযুক্তির মেলবন্ধনের কথাও বলেন।
উল্লেখ্য, ‘নয়া ভারত’যে বর্তমানে একমাত্র লক্ষ্য , এর জন্য আত্মনির্ভরতাই যে একমাত্র পথ, উল্লেখ করতে গিয়ে স্টার্টআপ বিজনেসের বৃদ্ধির উদাহরণ দেন। মোদী বলেন, “ভারত যেমন উদ্ভাবন করে, তেমনই সে ঝুঁকি নিতে জানে। আমার মনে আছে, ২০১৪ সাল নাগাদ, আমাদের দেশে মাত্র ২০০-৪০০ টি স্টার্টআপ ছিল। আজ, দেশে ৬৮ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ রয়েছে।”
নরেন্দ্র মোদীর সংযোজন, “আজ যেভাবে ভারতের শাসন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি ঘটছে, তা নয়া ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছাকেই প্রতিফলিত করে। এখন কোনও প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয় না যে আমি দিল্লি থেকে ১ টাকা পাঠাই কিন্তু মাত্র ১৫ পয়সা মানুষের কাছে পৌঁছয়।”
প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি অবিশ্বাস্য কম খরচে ইন্টারনেট পরিষেবার কথা উঠে আসে। এত কম খরচে ইন্টারনেট ব্যবহারের কথা অন্যান্য দেশ ভাবতেই পারেনা –দাবি রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তবে স্বাধীনতার পর যে অগ্রগতি ত্বরান্বিত হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি বলে মৃদু আক্ষেপ প্রকাশ করে মোদী বলেন , “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে অসংখ্য পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, যে গতিতে এবং ব্যাপক পরিমাণে হওয়া উচিত ছিল, আমরা তার থেকে বিভিন্ন কারণবশত পিছিয়ে ছিলাম।”
আসলে এই পিছিয়ে থাকার দায় তিনি পূর্বতন সরকারের দিকে আরোপ করেছেন সেটা বেশ বোঝা যায়। পাশাপাশি এখন যে ভারত দ্রুততালে দৌড়চ্ছে সেই ইঙ্গিতও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।