আজ ২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত হতে চলেছে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সপ্রীতি আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কি আসতে পারবেন? সেই নিয়ে গত দুইদিনে সাময়িক জলঘোলা করেছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরা।
আজ থেকে ৩ মাস আগে দিল্লী সফরের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করে ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’-এ আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী কথাও দিয়েছিলেন তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তবে এরাজ্যে তাঁর পদধূলি পড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। “অফিসিয়ালি আমন্ত্রিত হননি” এমনই একটি আলটপকা মন্তব্য ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি।
যদিও খবরসূত্রে প্রকাশ, গত ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর কর্মসূচি নির্ধারিত করা রয়েছে। তাই গুজরাতের কর্মসূচি সেরে তিনি আসতে সমর্থ হবেন কিনা তা নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। এটাকেই রঙ চড়িয়ে মশলা মাখিয়ে পরিবেশন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। প্রায় একসুরেই কথা বলেছেন রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও চাঁচাছোলা ভাষায় বরং বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনকে বেশ খানিকটা অবজ্ঞার ভাব দেখিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ” এধরনের সম্মেলন পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও বহুবার হয়েছে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হয়, কিন্তু এতে কোনও বিনিয়োগ আসেনা। তাই এইধরনের সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আসার কোনো কারণ আমি দেখিনা।”
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিল্প-বাণিজ্যেে উন্নত হোক এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেও প্রধানমন্ত্রীর যোগদান নিয়ে যাঁরা এইধরণের মন্তব্য করছেন, তাঁরা যে “নিম্নমানের রাজনীতি” করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের তাই ধারণা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি খোলা চিঠিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা “দেশের বিরোধীদের নিম্নমানের রাজনীতি” নিয়ে শোরগোল তুলেছেন। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের এহেন মন্তব্যে সেই অভিযোগগুলি বুমেরাং হয়ে গেল কি? প্রশ্ন সেখানেই।