২৩ জানুয়ারি নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিকল্পনা ছিল যতদিন না আসল মূর্তিটি তৈরি হবে ততদিন ইন্ডিয়া গেটে হলোগ্রাম অবয়বটি জ্বলজ্বল করবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা সৌগত রায়, জহর সরকার, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দুশেখর রায় সহ ৬ জন ইন্ডিয়া গেটে গিয়ে দেখেন হলোগ্রাম দিব্যি উধাও! খাঁখাঁ করছে ইন্ডিয়া গেট। এমনকি যেখানে হলোগ্রাম প্রতিফলিত হয় সেই পর্দাটাও পুরো ছিঁড়ে গিয়েছে।এরপরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
নেতাজির মূর্তি তৈরির উদ্দেশ্য এবং গঠনভঙ্গি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক চলছিল। হলোগ্রাম উধাও দেখার পরেই আরো সরব হয় তৃণমূল শিবির। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দিষ্ট কারণ দেখানো হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম এএনআইইয়ের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, “সংস্কৃতি মন্ত্রকের দাবি বিষয়টিতে রাজনীতির কোনও প্রশ্ন নেই। প্রচন্ড হাওয়ার কারণেই কিছুক্ষণের জন্য হলোগ্রাম মূর্তির আলো নেভানো হয়েছিল।”
সংস্কৃতি মন্ত্রক আরো জানিয়েছে , পরে হাওয়ার বেগ কমলে আলোটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারেই করা। কিন্তু এই যুক্তি সহজভাবে নিতে পারছেনা তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দাবি, তাঁদের আসার খবর পেয়েই হলোগ্রাম ফেরানোর ব্যবস্থা করতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি আরো বলেন, “নেতাজি এখন আর নেই। মূর্তিটি ছিল স্যালুট করা নেতাজি। তা নিয়েও সমালোচনা হয়। কাকে স্যালুট করছেন নেতাজি, মোদীকে?”
এদিন নিষ্প্রভ হলোগ্রাম মূর্তি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে সৌগত রায় বলেছেন, “বেশি হাওয়ায় মূর্তিটি উড়ে গিয়েছে। কারণ, মূর্তিটিতে কোনো আচ্ছাদন ছিলনা। হলোগ্রাম মূর্তির মতো নেতাজির প্রতি বিজেপির সমর্থনও উড়ে গিয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা সংগ্রামী, বীর সৈনিক তাঁকে নিয়ে দেশের মানুষের সাথে তঞ্চকতা, প্রবঞ্চনা করা হয়েছে।”
বিতর্ক অবশ্য এখানেই থামেনি তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন, গোটা দেশে এত শিল্পী থাকতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ একজন শিল্পীকে এই দায়িত্ব কেন দেওয়া হল! মূর্তির গুণগত মান নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।