গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার সাথে জঙ্গিদের একটি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যায়। কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় জঙ্গিদের গুলি ও সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিবর্ষণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। শেষপর্যন্ত অবশ্যই জঙ্গিদের পর্যুদস্ত হতে হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে।
তার আগে কিছুদিন ধরেই শোপিয়ান জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে হত্যা, গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছিল। সোনু কুমার বালজী নামের এক কাশ্মীরি পন্ডিত জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। এছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে আসা কয়েকজন শ্রমিকও জঙ্গিদের টার্গেটের শিকার হচ্ছিল, যাদের মধ্যে কয়েকজন মারাও যায়।
এদিন গোপন সূত্রে সেনাবাহিনীর কাছে খবর আসে শোপিয়ান জেলায় জঙ্গিরা ঘাঁটি বেঁধে বড়সড় নাশকতামূলক ছক কষছে। সন্দেহ তীব্র হতেই অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। জঙ্গিরাও জানতে পেরে অতর্কিতে হামলা চালায়। মুখোমুখি গুলির লড়াইয়ে ৪জন জঙ্গিকে খতম করে সেনা। এই জঙ্গিদের ‘লস্কর’-এর শাগরেদ হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে পাল্টা ৩ জন ভারতীয় জওয়ানও প্রাণ হারিয়ে শহীদ হন।
যদিও সেনামৃত্যুর ঘটনাটি গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার ফলেই হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে। জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযানের সময় ভিজে রাস্তায় চাকা স্কিট্ করে গাড়ি দুর্ঘটনাটি ঘটে আর তাতেই ৩ জন সৈনিক নিহত হন। তারপরেও অবশ্য অভিযান থামানো হয়নি।
শোপিয়ান জেলার জাইনাপোরা, বাদিগ্রাম এলাকায় জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিগুলিতে দফায় দফায় গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। পাল্টা গুলি চালায় জঙ্গিরাও। মূহুর্মূহু গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠতে থাকে শান্ত ভূস্বর্গ কাশ্মীর। অবশেষে সেনাবাহিনীর জয়। ৪ লস্কর জঙ্গির মরদেহ লুটিয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সীমান্তে অতন্দ্র দাঁড়িয়ে ভারতের সেনারক্ষীরা। রাখা হচ্ছে কড়া নজরদারি। জম্মুকাশ্মীর সীমান্তে নিরাপত্তা আরো বেশী জোরদার করা হয়েছে।