এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। তবে অনভিপ্রেত নয়। রাজনৈতিক সৌজন্যতায় এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এধরণের সৌজন্য দেখতে বহুকাল অভ্যস্ত নয় বলেই হয়তো গোটা ব্যাপারটায় অবাক ঠেকছে। কথা হচ্ছে দুই মেরুর দুই যোদ্ধা দিলীপ ঘোষ ও কুনাল ঘোষকে নিয়ে। দুই ঘোষ যে একে অপরের প্রতি সমর্থনসূচক বাক্য ব্যবহার করতে পারেন তাতেই অবাক সবাই। অথচ এটা জলজ্যান্ত বাস্তব। দিনের আলোর মতো সত্যি। দাবার ছকে ঘোড়ার আড়াই চাল চেলে ‘পদ্ম’ ঘোষের সমর্থনে পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন ‘ঘাসফুলের’ ঘোষ।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের অমার্জিত বক্তব্যে সেন্সর চালাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। তবে আর যাই হোক, দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ নেতা। সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিলীপ ঘোষকে সমর্থনের সুর তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ।
মঙ্গলবার ট্যুইট করে কুনাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক লড়াই ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু ওদের দলের কিছু দলবদলু তৎকাল সুবিধেবাদী ওঁর মত একজন আদি নেতার কন্ঠরোধ করে বুলডোজার চালাবে, এটা রাজনীতির অশুভ ইঙ্গিত।”
দিলীপ ঘোষের মতো একজন অভিজ্ঞ পুুরাতনী নেতার ‘কন্ঠরোধ’ করার বিরদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুনাল ঘোষ। যে দিলীপ ঘোষ ২১-এর নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাঙা পা নিয়ে কুরুচিকর বক্তব্য করেছিলেন প্রকাশ্যে! আশ্চর্য!
তবে এটাকেই বিজেপির পতনের ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করতে ভোলেননি কুনাল। ট্যুইটের শেষে তিনি ব্র্যাকেটের মধ্যে লিখেছেন, “(তবে বিজেপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে, লাটে উঠবে, এটা শুভ)।” অবশেষে দিলীপকে পরামর্শ কুনালের –“দিলীপ ঘোষ এসব ফতোয়া অমান্য করুন।”