ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা তুলে প্রতিবাদে সোচ্চার হলো বিজেপি। গত মঙ্গলবার হিংসায় নিহতদের পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে ধরনা দিলেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁদের সাথে দেখা করেন ও কথা শোনেন। এপ্রসঙ্গে নিজের মতামত প্রকাশ করে কার্যত প্রতিবাদকারীদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন রাজ্যপাল। উল্টোদিকে রাজভবনে এই ধারনাকে ‘রঙ্গমঞ্চ’ বলেই কটাক্ষে বিঁধেছেন কুনাল ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে সুবিচারের দাবিতে ধরনা মঞ্চে সামিল হলো বিজেপি। নিহতদের পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে এদিন ধরনায় বসেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল প্রমুখ বিজেপি নেতৃত্ব।
এরপর রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিজেপির মিছিল। রাজভবনে ভেতরে প্রবেশ করে সেখানেও ধরনা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদ আন্দোলনের রাজনীতিতে রাজ্যপালের এমন সক্রিয় সহায়তার ঘটনা বিরল। সম্ভবত সেকারণেই কটাক্ষ উঠেছে।
প্রতিবাদী মঞ্চে সকলের সাথেই দেখা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, “রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে আমি চিন্তিত। নির্বাচনের পর রাজ্যে হিংসার তাণ্ডব চলছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভেদাভেদ চলছে।” রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আরো বলেন, “নিহতদের পরিবার বিচার পাচ্ছে না।বগটুইয়ের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সকলে তা পাচ্ছে না। এই ভেদাভেদ হওয়া উচিৎ নয়।”
ওদিকে ধরনা সহ গোটা ব্যাপারটাকেই পূর্ব পরিকল্পিত ইঙ্গিত করে রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ।
তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, “রাজভবন বিজেপির রঙ্গমঞ্চে পরিণত হয়েছে। ধরনা দেওয়ার জন্য রাজভবন খুলে দিল রাজ্যপাল? এটা হয়? রাজ্যপাল পদের গরিমা নষ্ট করছেন উনি।” কুণালের আরো সংযোজন, “জনবিচ্ছিন্ন বিজেপি নিজেদের প্রাসঙ্গিক রাখতে নাটক করছে। মিথ্যা অভিযোগ করে আলোয় আসতে চাইছে তারা।”
বাস্তবিক পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এমনতর ‘রাজভবন অভিযান’ আগে কখনও হয়নি বলেই বৃহত্তর অংশ মনে করছেন।