বালিগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় একরকম অনুমিত ছিলই। জিতেছেন বাবুল সুপ্রিয়, তবে মার্জিন আগের চাইতে কম। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ৭৫ হাজার ভোটের তুলনায় বাবুল জিতেছেন ২০ হাজার ২২৮ ভোটে। তবে শেষ অবধি জয় মানেই জয়। বরং আশ্চর্য ভেলকি দেখালেন বামপ্রার্থী শায়রা শাহ হালিম। ৩০ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এল সিপিআইএম। ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে গেল বিজেপি, কংগ্রেস!
বালিগঞ্জ সম্পর্কে এতটা খারাপ ফলাফল আশা করেনি বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিমরা বুঝে গিয়েছেন তৃণমূল করলে বগটুইয়ের মতোই পুড়ে মরতে হবে।” বালিগঞ্জের একটা বড় অংশ মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ার ফলে সংখ্যালঘু ভোট টানবার আশায় ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টোই দেখাল।
মাত্র ১৩ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের। আর কংগ্রেসের কামরুজ্জামান চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ৫ হাজার ১৯৫। তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বালিগঞ্জে খোদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কেন্দ্রে সিপিআইএমের এই ভোটবৃদ্ধি বামেদের তরফে ইশারা করছে অন্যরকম। তবে কি বামেরা ভাঙা কোমর নিয়েই একটু একটু করে উঠে দাঁড়াচ্ছে!
নাসিরুদ্দিন শাহ -র ভাইঝি শায়রা এর আগে স্বামী ফুয়াদ হালিমের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন, এনআরসি ইস্যুতেও সরব প্রতিবাদীদের সামনের সারিতে ছিলেন। তবুও বালিগঞ্জ কেন্দ্রের এই ব্যাপক সংখ্যক ভোট পাওয়া একরকম অপ্রত্যাশিতই ছিল। তাই স্বভাবতই খুশির আমেজ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। আর কংগ্রেস! বিজেপি! এই দলদুটি বালিগঞ্জ কেন্দ্রে ইরেজারের প্রয়োগে একেবারেই মুছে গেল নাকি!