প্রশ্ন যখন শিক্ষার, তখন রাজনৈতিক মতবাদ আলাদা সরিয়ে রাখাই কাম্য। সম্প্রতি এই ইস্যুতেই এক সুরে আওয়াজ তুললেন দুই মেরুর দুই নেতা অধীর চৌধুরী ও শুভেন্দু অধিকারী।
কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের পন্থা অনুসরণ করে এবার বাংলাতেও স্কুল খুলে দেবার পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তেমনই একটা গোটা জেনারেশনের শিক্ষা সংক্রান্ত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে এক সুরেই সুর মেলালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, “আমি বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়েই স্কুল খোলার কথা বলেছি। বিশেষ করে গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাদের আাছে ট্যাব ল্যাপটপ এসব নেই তাদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দুইবছর স্কুল বন্ধ থাকার ফলে সমস্ত কিছু ভুলে যাচ্ছে তারা।” বিরোধী দলনেতার দাবি, “মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে যেভাবে কম সংখ্যায় শিক্ষার্থী নিয়ে একদিন অন্তর একদিন স্কুল খোলা হচ্ছে, এখানেও সেই ব্যবস্থা চালু হোক।”
একমত হয়ে দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। অধীর বলেছেন, “স্কুল খোলা উচিত। স্কুল না খোলা মানে ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতি। বিশেষ করে সাধারণ ঘরের পড়ুয়াদের বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শিক্ষাটা এক বিশেষ শ্রেণীর প্রিভিলেজের বস্তু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একপক্ষেরই কুক্ষিগত হয়ে পড়ছে শিক্ষা। কোভিড বিধি যথাসম্ভব মেনেই এবার স্কুল খুলে দেওয়া উচিত।”
রাজ্যসরকারের পক্ষে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় এপ্রসঙ্গে বলেন, “স্কুল খোলা মানে যে ক্ষতি এটা সবারই জানা। তবে করোনা এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। তাই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই সরকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।”
প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল রাজ্যসরকার। তখন তাদের বিরুদ্ধে বিশেষজ্ঞের মতামত মেনেই পদক্ষেপ নেবার দাবি তুলে সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরাই। এখন আশু সমস্যা অনুধাবন করে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়াই উচিত বলে মতামত দিয়েছে রাজ্যসরকার।