কিছুদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আর লাইভ করবেননা। একমাত্র দলের কোনও কর্মসূচি হলে তাঁর টিমের লোকজন শেয়ার করবে। সরস্বতী পূজোর দিন সরাসরি দলের কর্মসূচিতে যোগ না দিলেও, দলের প্রতিনিধি বিধায়ক মদন মিত্র আরো একবার চলে এলেন খবরের শিরোনামে। সোনাগাছির সরস্বতী পূজোয় রক্ত দিয়ে পুষ্প অর্ঘ্য দিলেন তিনি।
মানুষের কাছে মদন মিত্রর জনপ্রিয়তা ঈর্ষনীয়। মদন মিত্র মানেই নাচা, গানা বিন্দাস টক শো! সেই মদনই ফেসবুক থেকে সরে আছেন! থাকলে কী হবে! তাঁর কাজের প্রচার তো থেমে নেই। সরস্বতী পূজোয় ঝলমলে লাল পাঞ্জাবিতে তিনি দেখা দিলেন সোনাগাছির সরস্বতী পূজোয়। পূজোয় পদ্মফুল তো লাগেই! স্বয়ং রামচন্দ্রই তো দুর্গাদেবীর পূজোয় পদ্ম কম পড়েছিল বলে নিজের চক্ষুদান করতে যাচ্ছিলেন! আর এক্ষেত্রে ‘পদ্মফুল’ সিম্বলিক হওয়ার ফলেই পদ্ম বাদ, কিন্তু মদন মিত্র যা করেছেন তাতে রামায়ণের রামচন্দ্রই স্মরণে আসবে।
পদ্মের বদলে নিজের রক্ত ফুলে মাখিয়ে দেবী সরস্বতীর পায়ে অর্পণ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র।
রক্তসমেত ফুল দিয়ে মদনের প্রার্থনা –“ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক বিদ্যা।” প্রার্থনার পাশাপাশি একটি জরুরী কর্মসূচি নিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সোনাগাছির ‘পাড়ার শিক্ষালয়ে’ তিনি শিক্ষাদানের অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর প্রতিজ্ঞা, সোনাগাছিতে ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ হলে এলাকার বাচ্চাদের এখানে প্রত্যহ ১ ঘন্টা করে পড়াবেন তিনি।
সম্প্রতি ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান নিয়ে নানা বিতর্ক চলাকালীন পদ্মফুল ছিঁড়ে ফেলেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। সেই ঘটনা উল্লেখ করে তিনি তখনই প্রকাশ্যে বলেন, “কারুর পরোয়া করিনা। পদ্ম নয়, রক্ত দিয়ে বাগদেবীর আরাধনা করবো আমি।” এদিন সেটাই করে দেখালেন মদন মিত্র।