প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরক্ষার প্রার্থনায় মেতে উঠল কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। পাঞ্জাবের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, এমনটাই দাবি বিজেপির। তাই তাঁর সার্বিক মঙ্গলকামনায় দেশজুড়ে হোমযজ্ঞ , পূজা অর্চনা , মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রপাঠ আয়োজিত হল।
শুক্রবার কলকাতায় পূজার্চনা , হোমের সাথে সর্ববিঘ্নহারী মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রপাঠ করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। যাদপুরের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের শিবমন্দির এবং ভবানীপুরের শিবমন্দিরে পূজাপাঠের আয়োজন হয়েছিল। বেলা ১১টার খিদিরপুর এবং ভূকৈলাশ মন্দির, তারপর ভবানীপুরের শিবমন্দিরে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করা হয়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় হোম-যজ্ঞের বন্দোবস্ত হয়েছিল। সবটাই প্রধানমন্ত্রীর বিপদ কাটানোর উদ্দেশ্যে!
উল্লেখ্য, ‘মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র’ হল ভগবান শিবকে উদ্দেশ্য করে সর্ববিপদ হরণকারী মন্ত্র। ঋগ্বেদ ও মার্কণ্ডেয় পূরাণে এর উল্লেখ রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, রোগ-ব্যাধি-বিপদ- আপদ দূর করে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। তাই এই আয়োজন।
পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে অবরোধের মুখে আটকে পড়েছিল। টানা ২০ মিনিট আটকে থেকে অনুষ্ঠান বাতিল করে ফিরে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফিরে গিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান “বেঁচে ফিরেছি এই অনেক!”
এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ১৫-২০ মিনিট কনভয় আটকে থাকার ব্যাপারটাকে প্রায় আক্রমণের সাথেই তুলনা করে বিজেপি দল প্রধানমন্ত্রীর আয়ুকামনা-কেই রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা উগ্রতারা মন্দিরে যাগযজ্ঞ ও আয়ুবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মহামৃত্যুঞ্জয় পাঠের ব্যবস্থা করেন।