রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর প্রস্তাবনার বিষয়ে এর আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আলোচনা করেছিলেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বোঝাই গিয়েছিল মমতার প্রস্তাবনাই তাঁর চোখে অভিন্ন। এবার সেই একই সুরে সুর মেলালেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই তাঁদের সিদ্ধান্ত।
তাঁর পক্ষ থেকে সমাজবাদী পার্টির সহসভাপতি কিরণময় নন্দ স্পষ্টতই বলেছেন, “আমরা খুব শিগগিরই এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তবে আমাদের দলের সিদ্ধান্ত, রাষ্ট্রপতি পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নাম প্রস্তাব করবেন, আমরা তাকেই সমর্থন করব।”
কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম প্রস্তাবিত হলো? তৃণমূল শিবিরের খবর অনুসারে, মীনা কুমাররকে আর চাইছেননা মমতা। বরং অন্য কোনও নামের দিকেই তাঁর ঝোঁক রয়েছে। ওদিকে আপ, টিআরএস, এসপি, এনসিপি সব দলই মমতার নির্বাচিত ব্যক্তিকেই সমর্থন করবেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু গরিষ্ঠ সমর্থনে শেষপর্যন্ত কে হবেন রাষ্ট্রপতি পদের বিরোধী প্রার্থী সেই নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশের ধারণা এনসিপি নেতা প্রধান শরদ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে। যদিও এটাও স্থির নিশ্চিত, বিজেপি প্রার্থীই শেষমেশ জয়ী হবেন। তবে এই জয় পরাজয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেননা প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার। বরং তিনি বিরোধী দলের সমর্থন কতটা পাচ্ছেন সেটাই আসল দেখার।
কেননা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এই প্রতিযোগিতায় বিরোধী দলের সমর্থনই ২০২৪ এর নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটে তাঁর দলের কতটা ভূমিকা থাকবে, সেই অঙ্ক নিশ্চিত করে দেবে। উল্লেখ্য, শরদ পাওয়ারের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন রয়েছে সেটা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত।
তবে সামনে এখনও দীর্ঘ সময়। আরো নাম উঠে আসতেই পারে। বিরোধী দলগুলির একাধিক বৈঠকের ফলাফলই সেগুলি নির্ধারিত করে দেবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একবাক্যে সমাজবাদী পার্টির নেতা বলেছেন , “বিভিন্ন দল রয়েছে, বিভিন্ন সমীকরণ রয়েছে। কী হবে তা এখনই বলা চলে না। কিন্তু বিজেপিকে বিপুল ভাবে পরাস্ত করে আসার পর উনিই এখন বিরোধীদের অবিসংবাদী নেত্রী। সর্বভারতীয় কোনও জোট হলে তাঁকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে হবে।”