স্বভূমি গুজরাত। দীর্ঘদিন পর নিজের অঙ্গনে পা রেখে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমেই সাক্ষাৎ করলেন মা হীরাবেন মোদীর সাথে। এই অমূল্য মূহুর্ত ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পর এবার গুজরাতের পালা। আর সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই ২দিনের সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী এমনটাই রাজনৈতিক মহলের অনুমান। কয়েকটি কর্মসূচি সামনে রেখেই এবারের গুজরাত সফর। তবে সর্বপ্রথম যে কাজটি তিনি করলেন, এই মূহুর্তটিকে অমূল্য বলেই মনে করছে দেশবাসী।
গান্ধীনগরে নিজের বাসস্থানে গিয়ে প্রথমেই মায়ের সাথে দেখা করলেন মোদী। মা হীরাবেন মোদীকে প্রণাম সেরে দুজনে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা সারলেন। রাতের খাবারও খেলেন একসাথে। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে গুজরাতের কর্মসূচি পালনে অগ্রসর হলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন আহমেদাবাদে বিশাল রোড শোয়ে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কথাকলি, লোকনৃত্য ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহকারে এগিয়ে চলে।
এদিন গুজরাতের পঞ্চায়েত মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন , “গুজরাতের ভূমি বাপু এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের। বাপু সবসময়ই স্বনির্ভর গ্রাম এবং গ্রামীণ উন্নয়নের কথা বলতেন। বর্তমানে আমরা আজাদির অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। বাপুর গ্রামীণ বিকাশের সেই স্বপ্ন আমাদের পূরণ করতে হবে।”
গত ১১মার্চ দুদিনের গুজরাত সফরের লক্ষ্যে সেখানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এবারের গুজরাত সফরের কারণ হিসেবে পঞ্চায়েত মহাসম্মেলন ছাড়াও কিছু কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন, শিল্প সম্মেলন ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ এবং যুদ্ধসরঞ্জাম প্রদর্শনী ‘ডিফেন্স এক্সপো।’
কোভিড পরিস্থিতি এবং তারপর রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পিছিয়ে যাওয়া এই দুটি কর্মসূচি এবার অনুষ্ঠিত হবার কথা। তবে এই সফর নিছকই কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য নয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আগাম মহড়াটাও সেরে ফেলছেন কি নরেন্দ্র মোদী? তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।