বিশেষ কিছু মোবাইল নম্বরকে টার্গেট অজানা নম্বর থেকে টাকা পাঠানোর কথা জানিয়ে প্রতারনাপূর্ণ ফাঁদ পাতছে কিছু সন্দেহজনক দুষ্টচক্র। প্রায়শই টাকা পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কব্জায় ফেলে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টায় রয়েছে সন্দেহভাজন এই চক্র।
বর্তমান সময়ে গোপনীয় বলতে কিছুই প্রায় নেই। মানুষ নিজেই প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে নিজের মোবাইল নম্বর বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে থাকেন। আর মোবাইল নম্বরের সাথে অন্যান্য ডক্যুমেন্টের লিঙ্ক থাকায়, প্রযুক্তিগত কৌশল খাটিয়ে ডাটা যোগাড় করাটা আজকাল বেশি সহজ হয়ে উঠেছে।একদিকে যেমন প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে, উল্টোদিকে সেই প্রযুক্তিগত কৌশল খাটিয়েই মানুষকে বিপদে ফেলার ফাঁদ তৈরি করে রাখছে দুষ্টচক্র।
সহজেই ফাঁদে ফেলার কৌশলরূপে রহস্যজনক নাম্বার থেকে ফোন বা মেসেজ করে নির্দিষ্ট গ্রাহককে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেসেজে টাকা পাঠানোর উল্লেখ করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে ভুয়ো আইডি পর্যন্ত দেখিয়ে দিচ্ছে দুষ্ট চক্রের লোকেরা। মেসেজে ৭-১০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে এমন ঘোষণা করে লিঙ্কে ক্লিক করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অনেকেই লোভের বশে ফাঁদে পা দিয়েছেন। লিঙ্কে ক্লিক করার কিছু সময়ের মধ্যেই ওই ফোননম্বরধারী গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাজার হাজার টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে পলকেই! কীভাবে সাবধান হবেন?
প্রথমে এই প্রশ্ন নিজেকে করুন, অচেনা কোনও লোক বা অজানা কোনো সংস্থা আপনাকে টাকা পাঠাবে কেন? সুতরাং অচেনা নম্বর থেকে পাঠানো এইসব মেসেজকে একদমই গুরুত্ব দেবেননা। যত টাকারই প্রলোভন দেখানো হোক, ভুলেও কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেননা। বিপদ এখানেই শেষ নয়।
লিঙ্কে ক্লিক না করলেও অনেকসময়ে অনেকে কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে সেই ফোননাম্বারে কল করেও সর্বস্ব খুইয়েছেন।
মেসেজ পাঠানোর পরেও ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকেনি কেন, সেটা জানার জন্য অনেকো ওই নম্বরে ফোন করছেন। তারপরেই কাজের সুবিধার্থে একটা লিঙ্ক দিয়ে গ্রাহককে নিজের সমস্ত ইনফর্মেশন আপলোড করতে বলা হচ্ছে। কেউ ভুলবশত এমনটা করলেই বিপদ! অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ভ্যানিশ!
প্রশাসনের তাই সরাসরি আবেদন, কোনও কিছুর বিনিময়েই অচেনা ফোননম্বর থেকে মেসেজ এলে ভুলেও সেসব লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। কল এলে ফোন কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পারলে অজানা নম্বরটিকে সাথে সাথেই ব্লক করে দিন।