বসিরহাটের তারকা সাংসদ নুসরত জাহানের নামে পড়ল নিখোঁজ পোস্টার। কোথাও জনসাধারণের নাম করে, আবার কোথাও সরাসরি তৃণমূলের নাম নিয়েই দেয়ালে দেয়ালে সেই পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেগঙ্গা ব্লকের তৃণমূল নেতার দাবি, যারা পোস্টার ছাপিয়েছে তারা তৃণমূল ও নুসরতের নামে কুৎসার উদ্দেশ্যেই এমন কান্ড ঘটিয়েছে। এরা তৃণমূলের কেউ নয়, এরা ‘বেনোজল।’
বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের নামে নিন্দা ও তৃণমূলের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর উদ্দেশ্যই এমন পোস্টার ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন চাঁপাডাঙার এক যুবনেতা। তৃণমূলে থেকে এইসব কান্ড যারা করছে, তাদের স্পষ্টতই বেনোজল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
নুসরতের নামে পোস্টার সাঁটিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর ছড়িয়ে পরে সেই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমন দাবি তুলেই চাঁপাডাঙ্গার এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “নুসরত জাহানের তাঁর গোটা এলাকা ঘুরে দেখবেন সেটা অসম্ভব। সাংসদের কাজ হল, সংসদে তাঁর এলাকার উন্নয়নের কথা, সমস্যার তুলে ধরা। গ্রামে ঘুরলে তো চলবে না। যারা সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছে, তারা দলবিরোধী কাজ করছে।”
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলে ঢুকে পড়া এইসব ‘বেনো জল’ বহিস্কারের আবেদন জানিয়ে তিনি আরো বলেছেন, “তৃণমূলে কিছু বেনোজল ঢুকেছে। তারা নিজেরাই সাংসদের নামে পোস্টার দিচ্ছে, নিজেরাই ছিঁড়ছে। এদের কাজ হল দলের নামে তোলাবাজি করে খাওয়া। দলের বিধায়ক, সাংসদের নামে কুৎসা রটানো। দলকে পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে ফেলেছে। অবিলম্বে বেনো জল বের করা উচিত।”
তবে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার এই অভিযোগকে সহজ চোখে দেখছেনা বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম। সাংসদ নুসরত জাহানকে ‘ব্যস্ততম নায়িকা’ বলে টিপ্পনী কেটেছেন বারাসাতের বিজেপি সংগঠক তরুণকান্তি ঘোষ। তাঁর মতে “তৃণমূলের একাংশ বলেছে,দলকে যারা খাচ্ছে তারাই এটা করছে। তার মানে তৃণমূল স্বীকার করে নিচ্ছে, দলে তোলাবাজ আছে। তোলাবাজে ভরে গিয়েছে দল।”
নুসরতের পাশাপাশি অন্যান্য তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদদেরও দরকারের সময়ে পাত্তা পাওয়া যায়না স্পষ্টতই এমন কটাক্ষ তুলে তিনি বলেন,”আজ শুধু নুসরত জাহানের নামে পোস্টার পড়েছে। তৃণমূলের বাকি বিধায়ক, সাংসদদেরও একই অবস্থা।”