সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এক সভায় বিশ্বসংকটে ভারতের ক্ষমতায়নের তুলনা করতে গিয়েই স্বশাসনের মহিমা তুলে ধরলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আমলে ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে, দাবি করেছেন তিনি। যদিও বিরোধীরা এই বক্তব্যকে ভোটের প্রচার হিসেবেই দেখছেন।
ইউক্রেন থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারকার্য ‘মিশন গঙ্গা’ চালিয়ে এখনও পর্যন্ত সর্বমোট ৩৩৫২ জন ভারতীয় শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর জন্য ধাপে ধাপে ১৫টি স্পেশাল বিমান চালানো হয়েছে। হামলাকারী দেশ রাশিয়াও ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথা রেখেছেন বলেই জানা যায়।
এরপরই উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন , “দুনিয়ার কী পরিস্থিতি হয়েছে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। ভারতের ক্ষমতা বেড়েছে বলেই আমরা ইউক্রেন থেকে নাগরিক ও পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে এতবড় অভিযান চালাতে পারছি।” প্রতিনিধি স্বরূপ চার প্রতিমন্ত্রীকে পাঠানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের কটাক্ষ, “সঙ্কটজনক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভোটের প্রচার ও ফায়দা তোলার জন্যই এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন।”
তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায়ও প্রায় এক সুরেই বলেছেন , “আরো আগেই প্রধানমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।”
যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন ইউক্রেনে তৈরি হচ্ছিল, রাশিয়া থেকে লাগাতার হুঁশিয়ারি জারি করা হচ্ছিল, সেই সময়ে কেন ভারতীয়দের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবেননি নরেন্দ্র মোদী? এই প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। মল্লিকার্জুন খড়্গে আরো বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত নাগরিকদের উদ্ধার করা তাঁর কর্তব্য। প্রচারের কৌশল নয়। ”