ভারত সহ সাতটি প্রতিবেশি দেশকে পারস্পরিক সাহচর্যের আবেদন জানিয়ে সম্মতিপত্র তৈরি করা হলো। এর মাধ্যমে ভারত এবং ছয় রাষ্ট্র –বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড নিজেদের মধ্যে আঞ্চলিক সাহচর্যে লিখিতরূপে অঙ্গীকারবদ্ধ হলো। এর মধ্যে থাইল্যান্ড ছাড়া বাকি পাঁচটিই ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র। উল্লেখ্য, এই তালিকায় নেই চিন ও পাকিস্তানের নাম। পারস্পরিক সহায়তার ক্ষেত্রে কোন কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রাখছে ভারত?
‘বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’ সংক্ষেপে বিমস্টেক। গত মঙ্গলবারেই কলম্বোয় বিদেশমন্ত্রীদের পর্যালোচনার পর বিমস্টেকের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে টেলি কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আজ আমরা একটি সনদ প্রস্তুত করেছি। বিমস্টেককে একটি প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়ার লক্ষ্যে এটি প্রথম ধাপ।”
মোদী এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপে যে ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বিমস্টেকের আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি হয়ে উঠেছে।” বোঝাই যাচ্ছে তিনি ‘ন্যাটো-রাশিয়া-ইউক্রেন’ দ্বন্দ্বকে সামনে রেখেই কথাগুলি বলেছেন।
বঙ্গোপসাগরের চারদিক ঘিরে পারস্পরিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন এবং জলপথে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও বিস্তারের লক্ষ্যের প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আজ আমাদের এই অঞ্চল স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। এই মূহুর্তে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এখন সময় এসেছে বঙ্গোপসাগরে সমৃদ্ধি, সংযোগ ও নিরাপত্তার সেতু নির্মাণের।”
প্রতিবেশি ছয় দেশ ও থাইল্যান্ডের সাথে লিখিত সনদ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন বলেন, “এই সনদপত্রে স্বাক্ষরই আজকের বিমস্টেক সম্মেলনের বিরাট পাওনা। এর ফলে বিমস্টেকের আন্তর্জাতিক পরিচয় তৈরি হল। এই সংগঠনের প্রতীক, পতাকা সর্বোপরি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশিকা প্রকাশিত হল।”
পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিভিন্ন আদানপ্রদানের লিখিত রূপের পাশাপাশি বিমস্টেকের উন্নতিসাধনের লক্ষ্যে ১০ লক্ষ্য ডলার দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।