উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক খুনের ঘটনা আরো একবার যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সবচাইতে যেটা আশ্চর্য — পশ্চিমবঙ্গের বগটুই , হাঁসখালি কান্ড নিয়ে যত শোরগোল! উল্টোদিকে সদ্য ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে কোথাও টুঁ শব্দটি পর্যন্ত নেই! বিষয়টি লক্ষ্য করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্যই তাঁরা চুপ করে বসে নেই। ইতিমধ্যেই ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন মমতা।
শনিবার প্রয়াগরাজের খেবরাজপুরে এক পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা, যাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধা ও একটি শিশুও ছিল। থরবই থানার অন্তর্গত এই অঞ্চলের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কী বলছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন? জানা যাচ্ছেনা কিছুই।
এক বয়স্ক দম্পতি ও তাঁদের মেয়ে, বৌমা ও নাতনিকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। খবরটি সোশ্যাল মাধ্যমে নজরে আসার পরেই কোমর বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বগটুই ও হাঁসখালি কান্ডে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল, ঠিক সেভাবেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চাপে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন ট্যুইট করে বলেন, “যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২বছরের একটি শিশুকন্যাও ছিল।প্রায় সমস্ত মিডিয়াই খবরটি এড়িয়ে গিয়েছে। কোনও সিট গঠন করেছে কি বিজেপি সরকার? নিহত পরিবারের পাশে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কি দাঁড়াতে পারবে?”
এছাড়া সংবাদমাধ্যমের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী ও অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকে পবিত্র ভূমি আখ্যা দিয়েছেন, সেখানেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল! এটা যোগীরাজ নাকি গুন্ডারাজ তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি।”
ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজে গিয়ে পরিদর্শনের জন্য ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। এই কমিটিতে দোলা সেন, সাকেত গোখলে, মমতাবালা ঠাকুর, উমা সোরেন ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল সংগঠক ললিতেশ ত্রিপাঠি রয়েছেন।