ধর্মীয় আচার পালনের স্বাধীনতা সংবিধানে মৌলিক অধিকার বলে বিবেচনা করা হয়। অথচ ধর্মীয় স্বাধীনতা অনুযায়ী ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়েই নেটিজেনদের কটু সমালোচনার শিকার হলেন সইফ আলি খানের কন্যা সারা আলি খান। শিবরাত্রিতে শিবমন্দিরে পূজো দেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করতেই বিরূপ মন্তব্যে ভরে উঠল কমেন্ট বক্স।
আসলে মা অমৃতা সিং হিন্দু এবং বাবা আলি খান মুসলিম। তাদেরই মেয়ে সারা। পারিবারিক উদারশীলতায় তিনি দুই ধর্মেই রীতি রেওয়াজ মেনে চলেন। মা কিংবার বাবার দিক থেকে কখনোই তিনি সেক্ষেত্রে বাধা পাননি। সারা যেমন ঈদ পালন করেন, শিবের আরাধনাও করেন। কিন্তু নেটদুনিয়ায় এই কারণেই তিনি সমালোচিত হন প্রায়শই। এবারেও ঠিক তাই হলো। অথচ খুবই কি অন্যায় করেছেন সারা আলি খান?
শিবরাত্রিতে নিজের শিবপূজোর একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন সারা আলি খান। তাই দেখে চটে লাল সাম্প্রদায়িক মনস্ক নেটিজেন মহলের একাংশ। কেউ প্রশ্ন করেন, “আপনি নিজেকে মুসলিম বলতে লজ্জা পান?” কারোর দাবি, “যেকোনো একটি ধর্ম বেছে নিন। সেটাই শ্রদ্ধা দিয়ে পালন করুন।”
এই মন্তব্যকারীদের মধ্যে যেমন হিন্দু রয়েছেন, পাশাপাশি রয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়েরও মানুজন। তারা বিভেদ চান। দুটি ধর্মকে ভালোবেসে প্রীতি দিয়ে গ্রহণ করার চরম বিরোধীও। অভিনেত্রী সারা আলি খানের অবশ্য এই মন্তব্যের তোয়াক্কা নেই। স্বাধীনভাবে দুই ধর্মেরই সম্মিলনের মনোভাব পোষণ করে চলেন নিজের মতোই। কে কী বলল তাতে অভিনেত্রীর কিছু এসে যায়না, একাধিকবারই সেটা প্রমাণ করেছেন তিনি।