অভিনেতা ব্যক্তিত্ব যদি এলিট গোত্রীয় হন, তাহলে তাঁর একেকটি মন্তব্যকেও ভীষণ মূল্যবান মনে করা হয়, তেমনই বিরুদ্ধ কোনও মন্তব্য করলে নিন্দাও হয় বিস্তর। সম্প্রতি বলিউড সিনেমার বিখ্যাত অভিনেতা তথা নাট্যজগতের ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ্-র একটি মন্তব্য ঘিরে ট্রোলিংয়ের ঝড় উঠল নেটদুনিয়ায়।
মোঘলদের এই দেশকে আপন করে নিয়ে দেশের অংশ হতে চাওয়ার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে তাদের তিনি রিফিউজি বলতে চেয়েছেন। কিন্তু তাদের রিফিউজি বলেতে নারাজ প্রায় সবাই। মন্দির ধ্বংসের প্রসঙ্গ তুলে, এমনকি চেইন সিস্টেমে জুড়ে অনেকে সাম্প্রতিক অতীতের বাংলাদেশে দুর্গামূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন।
নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়েছে যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ্ বলেছেন, “আমরা বারবার মোঘলদের অত্যাচারের কথাই হাইলাইট করি। ভুলে যাই এই মোঘলরাই দেশের জন্য অনেককিছু করেছে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্য নির্মান করেছে; এই দেশকে নাচ গান মিউজিক পেইন্টিং ও সাহিত্যের স্বর্ণখনি দিয়েছে। ওরা এই দেশকে নিজের দেশ করতে চেয়েছিল। চাইলে ওদের আপনি রিফিউজি বলতে পারেন।”
নাসিরুদ্দিন শাহ্-র এই বক্তব্যের পরেই নেটিজেনদের কমেন্টে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ‘মোঘলদের আগে কি আমাদের দেশে কোনও আর্ট বা কালচার ছিলনা?’
কেউ কেউ দৃষ্টান্ত স্বরূপ কাশি, মথুরার ছবি পোস্ট করে দেন। কারুর মতে, ‘ওনার মাথাখারাপ হয়েছে। সমস্ত বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন।’ কেউ আবার নাসিরুদ্দিনের প্রতি সরাসরি ঘৃণা ছিটিয়ে অকৃতজ্ঞ উল্লেখ করে বলেছেন , ‘আমাদের থেকে এত ভালবাসা পেয়েও ইনি নিজেকে সরফরোশের গুলফাম হোসেনই প্রমাণ করলেন।”
কিন্তু আশ্চর্য এই, মন্তব্যকারী ব্যক্তিগণ নাসিরুদ্দিন শাহ্-র মধ্যে গুলফাম হোসেনকেই খুুঁজে পেলেন! মির্জা গালিবকে খুঁজে পেলেননা?
বিদগ্ধমহলের একাংশ এই প্রশ্ন রেখেছেন।