বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য কাশ্মীরি ফাইলস চলচ্চিত্রটি যে এইসময়ের বিশেষ ধর্মীয় সংগঠন ও রাজনৈতিক মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি এবিষয়ে চলচ্চিত্র মহলের একাংশ খুব জোরালোভাবেই মত দিয়েছেন। ব্যবসার পাশাপাশি ছবিটি নিজেই হয়ে উঠেছে প্রোপাগান্ডা।
হিন্দু জেনোসাইডের তথ্যে ভরপুর এই সফল চিত্রায়ন একইসঙ্গে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির এজেন্ডাও বটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোড়াতেই ছবিটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। এবার খোদ আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গলায় সেই সুরই প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠল।
কাশ্মীরের নববর্ষকে সামনে রেখে একটি ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, “আমার মনে হয় সেই দিন খুব দূরে নেই, যেদিন কাশ্মীরি পন্ডিতরা আবার তাঁদের ঘরে ফিরে যাবেন। কাশ্মীরি পন্ডিতরা এবার ঘরে ফিরলে আর তাদের পুনরায় উদ্বাস্তু হতে হবেনা।”
এই জোরালো দাবি রাখতে গিয়েই সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রটির উল্লেখও করেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। নির্যাতন ও ঘরছাড়া হবার সময় কাশ্মির পন্ডিতদের পক্ষ ও বিপক্ষ দুইভাগে বিভক্ত ছিলেন অনেকেই। মোহন ভাগবতের মতে, চলচ্চিত্রে সেই দিকটিই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এবার কাশ্মীরি পন্ডিতরা প্রত্যাবর্তন করলে তাঁদের কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দিকেও জোর দেন তিনি। যদিও সেগুলি কীপ্রকারে সুনিশ্চিত হবে সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরি পন্ডিতদের ছেড়ে যাওয়া বাসস্থানগুলি বর্তমানে ভারতীয় সেনাছাউনীরূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরো একটি প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ, যখন কাশ্মীরি পন্ডিতদের ওপর নির্যাতন ও উচ্ছেদ করা হয়েছিল, সেইসময়ে আরএসএস তথা গেরুয়া শিবিরের সৈনিকরা কোথায় ছিলেন? যার সদুত্তর এখনই না মিললেও ভবিষ্যতে উত্তর পাওয়া যাবে বলেই আশা রাখতে হয়।