স্কুলে সরস্বতী পূজো বন্ধ করার দাবি তুলে জনৈক ব্যক্তি ফেসবুক ওয়ালে অকথ্য ভাষায় দেবী সরস্বতীকে নিয়ে অপমানজনক একটি পোস্ট করেন। স্বভাবতই এই পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে ভাইরাল হয়। এই পোস্ট ঘিরে নেটনাগরিকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই উষ্মা প্রকাশ পেতে থাকে।
আশ্চর্য হল, এতকিছুর পরেও এই পোস্টটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে ডিলিট করা হয়নি! যেখানে ফেসবুকের পলিসি অনুযায়ী আপত্তিকর বা হিংসাত্মক কোনও পোস্ট শেয়ার হলে ফেসবুক নিজেই তা ডিলিট করে দেয়! এই মর্মেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা তোলেন মধুরিমা সেনগুপ্ত নামে জনৈকা ফেসবুক ইউজার। এরপরেই বিষয়টি সচেতন মহলের দৃষ্টিগোচর হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার দেয়ালকে হাতের নাগালে পেয়ে অনেকেই যা খুশী তাই লিখে ছড়ানোর অধিকার পেয়ে এর অপব্যবহার শুরু করে দেয়। ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স টিম কার্যত মেকানিকাল হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে সেই পোস্টগুলোকে চিহ্নিত করতে অক্ষম হয়। উল্টোদিকে এমনকিছু তারা চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করে বসে যা আদৌ আপত্তিকর নয়! সম্প্রতি এমন ঘটনাতেই সরব হয়ে উঠল ভারতীয় বিচারবিভাগ।
মধুরিমা সেনগুপ্তের মামলার ভিত্তিতে আদালত অবিলম্বে ফেসবুককে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ফেসবুক তরফের আইনজীবি মুকুল রোহিতগী ‘আর্টিফিশিয়াল টিমের ইন্টালিজেন্সের বিভ্রাটের’ দিকেই বিষয়টি ঘোরাতে চেয়েছিলেন তবে তা শেষপর্যন্ত ধোপে টেঁকেনি। অবিলম্বে ফেসবুককে এই পোস্ট মুছে পোস্টকারী ব্যক্তিকে শনাক্ত করে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
রাজ্যের কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পোস্টের উল্লেখ করে বলেন, “কোনভাবেই এটা বাঞ্ছনীয় নয়। অভিযুক্তকে বরদাস্ত করা হবেনা। আদালতের নির্দেশে এই নিয়ে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ।”