বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে পারিবারিক অপমানের অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ। গতকাল একটি ট্যুইট মারফত কুনাল ঘোষ জানান, তাঁর বাবা নাকি তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছিলেন! এই ভাষাতেই প্রকাশ্য সংবাদমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু জানিয়ে ক্ষান্ত হননি কুনাল ঘোষ। তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রীতিমতো আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটাও বলেছেন।
একসময়ের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আজ শত্রুতে রূপান্তরিত। একে অপরের উদ্দেশ্যে বিষোদ্গার রাজনীতিতে পরিচিত ঘটনা, আকছারই ঘটে। তবে রাজনৈতিক আক্রমণ ব্যক্তিগত না হওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন সচেতন মানুষজন। সৌজন্য নামক একটি বস্তু যা খালি চোখে দেখা না গেলেও, শত্রু-মিত্র উভয়তই কিছু ‘এথিকস’ কাজ করে। আজকাল কি সেই সৌজন্যবোধ নেতারা খুইয়ে বসছেন? সম্প্রতি তেমনই অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
কুনাল ঘোষ তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেছিল আমাকে আমার বাবা ‘তাজ্যপুত্র’ করেছিলেন। আমার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী আজ শুভেন্দুকে নোটিস পাঠিয়ে বলেছেন চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
এর আগেও বহুবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ‘নির্লজ্জ আক্রমণের’ অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল। শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনৈতিক অতীত স্মরণ করিয়ে বারংবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন ‘রাজনৈতিক জন্মদাত্রী’-কে এভাবে যেন তিনি অপমান না করেন। আর এবারের আক্রমণটি কুনালের প্রতি একেবারে সরাসরি ব্যক্তিগত। আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে কুনাল ঘোষ কি স্পষ্ট বার্তা দিলেন, মমতা ক্ষমা করলেও তিনি সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন! কুনাল ঘোষের ট্যুইটে তেমনই মনোভাব ফুটে উঠেছে।