কোভিডের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে এই মূহুর্তে সারা বিশ্ব চিন্তিত। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ হিসেবে ভাইরাস যে শক্তি নিয়ে দেখা দেবে অনুমান করা হয়েছিল, তা কিন্তু হয়নি। হয়নি এটা প্রকৃতি দেবীর আশির্বাদ!
মারাত্মক ‘ডেল্টা’-য় রূপান্তরের বদলে মিউটেশনের ধারায় কোভিড রূপ নিয়েছে ওমিক্রন-এ। ওমিক্রনের সংক্রমণ সহজে ছড়ায় কিন্তু মারণ ক্ষমতা ততগুণ নয়, এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাই বলছেন।
এবার আরো এক নতুন গবেষণার ফলে দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রন আক্রান্তরা ‘ডেল্টা’-র মতো শক্তিশালী কোভিড ভাইরাসকেও হারিয়ে দিতে পারেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু গবেষক জানালেন, যেসব ব্যক্তিরা ‘ওমিক্রন’ আক্রান্ত হচ্ছেন আশ্চর্যভাবে তাঁরা আরো মারাত্মক ভাইরাস ‘ডেল্টা’ কে রুখে দিতে পারেন সহজেই!
উল্লেখ্য,নভেম্বর মাসের শুরুতেই করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনের প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় বৎসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর তা দ্রুতহারে সংক্রমিত হয়ে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গবেষকরা তাই ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে দেন।
African Health and Research Institute দুইধরণের গবেষণা চালিয়েছে। কোভিড ভ্যাক্সিন নেওয়া এবং না নেওয়া ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর। ফলস্বরূপ দেখা যাচ্ছে যেসব ব্যক্তিদের রক্তে ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে, তাদের রক্তের প্লাজমায় তৈরি অ্যান্টিবডি ‘ডেল্টা’-র মতো মারাত্মক করোনাকেও প্রতিরোধ করতে পারে এমনই শক্তিশালী। অন্যদের তুলনায় এই ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বেশি।
গবেষকরা আশাবাদী। এই পরীক্ষা তাঁরা আরো ব্যপক হারে করতে চান। কেননা এই সম্ভাবনা ইঙ্গিত করছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের ডেল্টায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে! আর যদি তাই হয়, তবে কোভিড ভাইরাসের ‘ডেল্টায়’ রূপান্তরও আর সম্ভব নয়! অনেক অন্ধকারেও এই গবেষণার ফলাফল কিছুটা আশার ঝলক হয়ে দেখা দিল।