ভারতে এই মূহুর্তে আবারো বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। তার ওপর ভারতসহ বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের ভয়। কেমন এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট? তাকি আরো বেশি ক্ষতিকর নাকি তুলনায় কম? এমনই অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে। এরই মধ্যে এক আশ্চর্য আশার আলো জাগিয়ে সুখবর দিলেন ইজরায়েলের এক চিকিৎসা বিজ্ঞানী। ভারতের অনেক চিকিৎসকই তাঁর বক্তব্যের সাথে অনেকটা সহমত পোষণ করছেন।
সম্প্রতি ট্যুইট করে ইজরায়েলের বিশিষ্ট চিকিৎসক আফসাইন এমরানি জানিয়েছেন,”ওমিক্রন আসলে একটা ভ্যাক্সিন। এই ভ্যাক্সিন কোনও সংস্থা বানাতে পারেনি। অক্সিজেন, হাসপাতাল বা কোনওরকম সঙ্কট ছাড়াই ‘গণ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ই এই ভ্যাক্সিন তৈরি করেছে।”
তিনি আরো বলছেন,”ক্রমশ ডেল্টার জায়গা নিয়ে নেবে ওমিক্রন। আগামী ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সারা বিশ্বে টিকাকরণ হয়ে যাবে। তাহলে আতঙ্কের কারণ কী? সুতরাং প্রকৃতির কাছে আহমেদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বড়সড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এটা প্রকৃতিরই আশির্বাদ।”
প্রাথমিকভাবে এই কথাগুলো আশ্চর্য শোনালেও, ইতিমধ্যেই গবেষকরা ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা করে দেখেছেন — যাদের এই নতুন স্ট্রেন ধরেছে, তাদের রক্তের প্লাজমায় কিছু অতিরিক্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, যা ডেল্টার মতো মারাত্মক ভ্যারিয়ান্টকেও রুখে দিতে পারে! এবার ইজরায়েলের চিকিৎসক তাঁর মতামত জানিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠালেন। পাশাপাশি কলকাতার কোভিড বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়ের মতে, “নতুনভাবে আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। যদি ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার দিকে না যায় এবং যদি ‘ওমিক্রন’ দিয়েই সবার কোভিড হয়ে যায়, তাহলে আমরা একটা অতিরিক্ত ইমিউনিটি পেয়ে যেতে পারি।”
ডক্টর শাশ্বতী সিংহ বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত ৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের চিকিৎসা করেছি। সবার ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ ছিল। সর্দি, কাশি ,জ্বর এগুলোই। ক্রিটিক্যাল কিছু হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আমরা ডেল্টার ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছি, তার তুলনায় ওমিক্রন ততটা ভয়ঙ্কর নয়। এইরকম থাকলেই ভালো।”