ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বারংবারই বলে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতায় সবসময়ই বলেছেন, “আমি মন্দিরে যাই, গুরুদ্বারে যাই, মসজিদেও যাই।” শুধু বক্তৃতায় নয় বাস্তবেই সেটা প্রতিফলিত করেও দেখিয়েছেন। আজ খুশির পরব ইদ। তার আগেই গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষোলো আনা মসজিদে গিয়েছিলেন বলে খবর।
সেখানে গিয়ে ইমামদের ইদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তিনি ফুল, মিষ্টি উপহার দেন। শুধু সৌজন্যই নয় তিনি প্রত্যেকের সাথে কথা বলে মসজিদে কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে কিনা সেব্যাপারেও মসজিদ কমিটির কাছে খবরাখবর নিয়েছেন।
ইদে বাংলা জুড়ে খুশির বাতাবরণ। কলকাতার মুসলিম মহল্লাগুলি, বাজার এলাকাগুলি কেনাকাটির পসরা সাজিয়ে সরগরম। আলোকমালায় সাজানো বিভিন্ন এলাকা। প্রতিবারের মতো এবছরেও ইদের আগের দিন খিদিরপুরের ষোলো আনা মসজিদে মমতার দেখা মিলল। মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবরে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে যায়। প্রশাসনিক ঘেরাটোপের তৎপরতার মাঝেই ষোলো আনা মসজিদে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই মসজিদের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। ঘেরাটোপের চারপাশে তখন মমতাকে একঝলক দেখবার জন্য ভিড় উপচে পড়ছিল। মসজিদের ইমামদের হাতে ফুল মিষ্টি দিয়ে শুভকামনা জানিয়ে সুবিধা অসুবিধার খবর নেন। মসজিদ সংলগ্ন মিউনিসিপ্যালিটির অফিসে বসে তিনি ইমামদের সাথে বহুক্ষণ আলোচনা করেছেন বলেই খবরে প্রকাশ।
এদিন স্থানীয় মানুষজনেরও মনোবাসনা পূরণ করেছেন বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সান্নিধ্য লাভের আশায় লাইন দিয়ে ভিড় জমানো সাধারণ মানুষজনের মাঝখানে নেমে আসেন তিনি। বেশ কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে শুভেচ্ছা জানিয়ে তবেই ফিরেছেন তিনি।