এবার মহিলারাও যুদ্ধবিমান চালানোর ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান অধিকার পেতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বর্ণনা করে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
আসলে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল আগেই। ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই মহিলা পাইলটদের অ্যাকাডেমিতে যোগদানের পথ খুলে যায়। তখনই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল– রাফাল জেট বিমানের পাশাপাশি মহিলা পাইলটরা মিগ-২১, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ ওড়াতে সমান পারদর্শী।
এমনকি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিং গতবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের ট্যাবলোয় অংশও নিয়েছিলেন। এবার এইসমস্ত দিক লক্ষ্য করেই পরীক্ষামূলক প্রকল্পটিকে বাস্তবায়িত করতে অগ্রসর হল কেন্দ্রীয় সরকার। বায়ুসেনাতে মহিলা পাইলটদের পাকাপাকি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এটি মহিলাদের জন্য বিরাট একটি সুখবর হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ট্যুইট মারফত এই খবর প্রকাশ করে বলেন, “এটি ভারতের ‘নারীশক্তি’ ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”
বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌ-সেনাবাহিনীতে এবং যুদ্ধ জাহাজের ক্ষেত্রেও মহিলারা যাতে সমান অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তবে এইমূহুর্তে ফাইটার জেটবিমান চালানোর পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি একেবারেই স্থায়ীরূপে গণ্য হয়েছে। মহিলারা জেটপ্লেন ওড়ানোর ক্ষেত্রে পুরুষের সমতুল্য অধিকারই পাবেন।
ইতিমধ্যেই ২০২২ সালের জুন মাসে প্রথম ব্যাচের মহিলা ক্যাডেটদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা করেছে বায়ুসেনা। এবিষয়ে Centre of Air power studies-এর প্রাক্তন এয়ার মার্শাল অনিল চোপড়া বলেছেন, “মহিলারা রাফাল ও সুখোই-৩০ সহ টপ এন্ড ফাইটার প্লেনও চালাচ্ছেন। সুতরাং পরীক্ষামূলক স্কিমটিকে স্থায়ী হিসেবে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত মহিলাদের ক্ষমতার প্রতি উপযুক্ত স্বীকৃতি। তাঁরা বায়ুসেনার সকল শাখাতেই অত্যন্ত ভালো কাজ করছেন।”