তাজমহল নিয়ে বিতর্কের আবহ শান্ত হচ্ছেনা। সম্প্রতি তাজমহলের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জোরালো কটাক্ষে বিঁধলেন আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।
তাজমহলের ২২টি তালাবদ্ধ কক্ষে হিন্দুবিগ্রহ লুকিয়ে রাখা আছে, এমনই দাবি তুলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। যদিও সেই পিটিশন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সুপারিশের ভিত্তিতে বাতিল করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে এআইএমআইএম সংগঠনের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন, আসলে ওঁরা তাজমহলের তলায় প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রী খুঁজছেন।
ওয়েসির আরো সংযোজন, “ভারত আমারও নয়, ঠাকরেদেরও নয়, মোদী-শাহরও নয়। যদি ভারত কারও হয়, তবে তা দ্রাবিড় ও আদিবাসীদের।”
এই বাদবিতন্ডা চলাকালীনই তাজমহল ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধে। তাজমহল চত্বরে ঢুকে নামাজ পড়ছিলেন চার ব্যক্তি। খবর পেয়ে সত্বর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুয়ায়ী ‘ইউনেসকো’ দ্বারা হেরিটেজ বলে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জায়গায় শুক্রবার বাদে অন্যদিন নামাজ পাঠের নিয়ম নেই। আগ্রার পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ”অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আদালতে পেশ করা হয়েছে।”
ওদিকে তাজমহলের বিতর্ক চলাকালীনই কুতুবমিনার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের এক প্রাক্তন কর্মকর্তা ধরমবীর শর্মা দাবি করেছেন কুতুব মিনার রাজা বিক্রমাদিত্য তৈরি করিয়েছিলেন। ধরমবীর শর্মা বলেছেন, “এটা আসলে কুতুব মিনার নয়, সূর্য টাওয়ার। পঞ্চম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্য এটি তৈরি করেছিলেন। এই নিয়ে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “কুতুব মিনার ২৫ ইঞ্চি হেলানো। তার কারণ, ২১শে জুন সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য এটি বানানো হয়, যাতে সূর্যের আলোয় মিনারের কোনও ছায়া না পড়ে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই এমনটা করা হয়েছিল।”