রাষ্ট্রসংঘের পর্যালোচনা উপেক্ষা করে,সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। কূটনৈতিক সমস্ত নীতি হেলায় মারিয়ে দিয়েছেন পুতিন, এমনটাই দাবি আমেরিকার। তবে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের সপক্ষেই সাহায্যের হাত বাইরে দিলেও, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হবেনা আমেরিকা ও ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি, সেটাই বলে আসছিলেন জো বাইডেন। তবে এবার তিনি স্পষ্টতই সেই ধারণা ভুল বলে ঘোষণা করলেন।
স্টেট অফ দ্য ইউনিয়নের ভাষণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “পুতিন ভেবেছিলেন পশ্চিমি দুনিয়া বা ন্যাটো কোনও জবাব দেবেনা। তিনি ভাবছিলেন আমাদেরও আলাদা করে দিতে সক্ষম হবেন। ভুল ভাবছিলেন পুতিন। আমরা তৈরি।”
রাশিয়ার ব্যবস্থাতে চূড়ান্ত একনায়কতন্ত্র আখ্যা দিয়ে সারা বিশ্বের প্রেক্ষিতে ন্যাটো-র দায়িত্ব সম্পর্কে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ৩০ টি দেশ ন্যাটোর সদস্য। ন্যাটোর গুরুত্ব রয়েছে। মার্কিন কূটনীতিরও গুরুত্ব রয়েছে। পুতিন ভাবছিলেন সহজেই তিনি ইউক্রেন দখল করবেন আর সারা বিশ্ব চুপ করে বসে থাকবে!”
এইমূহুর্তে বিশ্বদৃষ্টিতে রাশিয়ার হীন পরিচয়ের উল্লেখ করার পাশাপাশি জো বাইডেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির প্রভূত প্রশংসাও করেছেন। পাশাপাশি জেলেনস্কিও এই যুদ্ধে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের বক্তৃতায় বলেন, “অন্ধকারকে জয় করবে আলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত আসুন আমরা সবাই ইউক্রেন ও সারা বিশ্বকে নির্ভুল বার্তা পাঠাই।”
এখনও পর্যন্ত ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত না হলেও ইউক্রেন যে পা বাড়িয়েই আছে তা সকলেই জানেন। জানে রাশিয়াও। ‘ডন-বাস রিজিওন’ হাতছাড়া হলে ইউক্রেন যে আরো শক্তিশালী হবে, আর মার্কিনি সান্নিধ্যে তা যে ঘটতেই চলেছিল এটা বুঝতে পেরেই আক্রমণ করতে দেরি করেনি রাশিয়া। এই অবস্থায় রাশিয়াকে প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে আমেরিকা তাহলে কি যুদ্ধে পরোক্ষভাবে লিপ্ত হবারই ইঙ্গিত দিল? সেটাই এখন প্রশ্ন।