ইউক্রেনের নিক্ষিপ্ত নেপচুন মিসাইলে যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ধ্বংসের পরেই দ্বিগুণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সরকারি চ্যানেলের ঘোষণা থেকেই সেটা স্পষ্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মস্কভা জাহাজ ধ্বংসের পর থেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে!’
শুরু থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল আমেরিকা তথা ন্যাটো সংগঠন। এবার উল্টে রাশিয়াই পাল্টা ঘোষণা করল। এইমূহুর্তের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই মনে করছে রাশিয়া।
মস্কভা জাহাজ ধ্বংসের পরেই রাশিয়া প্রত্যুত্তর দিয়েছে। কিয়েভে নেপচুন মিসাইল তৈরির কারখানা লক্ষ্য করেই ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার স্পষ্ট হুমকি ‘আরও মিসাইল হামলার জন্য প্রস্তুত হোক ইউক্রেন।’
বাস্তবিকই মারিয়োপোলের যুদ্ধে মস্কভা যুদ্ধজাহাজ অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। শুক্রবার ইউক্রেন থেকে ছোঁড়া দুটি নেপচুন মিসাইল আছড়ে পড়ে ধ্বংস করে দেয় রাশিয়ার ওই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ। রাশিয়া যে এই হামলাকে সহজভাবে নেবেনা সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি কেন?
তার কারণ, ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে ন্যাটোর ছায়া ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করতে পেরেছে রাশিয়া। অর্থাৎ সরাসরি যুদ্ধ না করলেও ন্যাটো যে আড়াল থেকে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ সাহায্য করছে, অস্ত্র, সামরিক সহায়তা ছাড়াও কিয়েভে ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রনেতাদের যাওয়া আসা লক্ষ্য করেছে ক্রেমলিন। সুতরাং যুদ্ধে ন্যাটোর পরোক্ষ ভূমিকা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে।
রাশিয়ান টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক ওলগা স্কাবেইভার মতে, “সংঘর্ষ যেভাবে ত্বরান্বিত হচ্ছে তাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই বলা যায়।”
ওলগা আরো বলেন, “হয়তো সরাসরি ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছেনা। কিন্তু আমরা ন্যাটোর পরিকাঠামোর বিরুদ্ধেই লড়ছি।” ওলগা এই সম্ভাবনার ওপরেই বারংবার জোর দিয়েছেন।