এমনিতেই উর্দ্ধমুখী করোনা সংক্রণে পশ্চিমবঙ্গ জেরবার। তার মধ্যেই বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা সাতসকালেই চমকে উঠলেন ইনস্টাগ্রামের পোস্ট দেখে! ‘চলে গেলেন সৃজিত মুখার্জি …!’ বাংলা সিনেমার দর্শকদের বিশেষ করে সৃজিত ভক্তদের হার্টবিট কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ইনস্টাগ্রামের এই পোস্টে। পরে বোঝা গেল এই পোস্টের আসল কারণ কী।
নতুন বছরের শুরুতেই বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। টলিউডেও ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস, অনেকের সাথেই আক্রান্ত হয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। খবরটা টাইমলাইনে নিজেই জানিয়েছিলেন পরিচালক। ঠিক তার পরেই রুগ্ন ছবিসমেত এই পোস্ট দেখে আঁতকে উঠেছিলেন সকলেই! এত তাড়াতাড়ি বাড়াবাড়ি হলো কীকরে?
মিনিট খানেক থমকে, একটু ভালো করে ছবিটা লক্ষ্য করতেই ছবির নিচে চোখে পড়বে ছোট্ট করে লেখা –‘আইসোলেশনে’। পুরো কথাটা একসঙ্গে জুড়লে দাঁড়ায়, ‘সৃজিত মুখার্জি চলে গেলেন আইসোলেশনে।’
বছর শুরুর এই বিপদের কালেও নিজেকে নিয়ে চরম রসিকতায় মাতলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। বাংলা সিনেমায় অবদানের কথা বলতে গেলে অবশ্যই সৃজিত মুখার্জির নাম বারংবার উচ্চারিত হবে। যেসময় বাংলা সিনেমা পাড়া ধুঁকছিল সেসময়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ, গৌতম ঘোষের পরেই আরো এক পরিচালকের নাম যুক্ত হয়ে গিয়েছিল, যিনি বাংলার দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করিয়েছেন — তিনি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
সুতরাং এহেন পোস্টে বাংলা সিনেমার অগনিত দর্শকদের কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
ভালো সিনেমার পাশাপাশি পরীক্ষা নিরীক্ষা ভালোবাসেন, নিজেকে নিয়েও ভাঙচুর করেন হামেশাই। অতএব তিনি যে নিজের জীবন নিয়েও রসিকতা করবেন তাতে আর আশ্চর্যের কী! করোনা আক্রান্ত হয়েও সেটাই করে দেখালেন সৃজিত। নিজের পোস্ট নিজেই সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করে রটিয়ে দিলেন ‘সৃজিত মুখার্জি চলে গেলেন…
…আইসোলেশনে।’ আবার ক্যাপশনে লিখেছেন ‘ট্যুইটারে পেলাম।’