প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলো বাদ। এপ্রসঙ্গে ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে চিঠির কোনও উত্তর যদিও আসেনি। কেন্দ্রীয় তরফেও কোনও সাড়াশব্দ ছিলনা। এবার সর্বপ্রথম মুখ খুললেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ট্যুইটার মারফত এই প্রসঙ্গ তুলে উল্টে গোটা ব্যাপারটাকেই ‘সস্তার রাজনীতি’ আখ্যা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা সীতারমণের বক্তব্য অনুযায়ী, “প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননা। সরকারও নেয়না। এর জন্য বিশেষ ক্ষেত্র অনুযায়ী বিশষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিই ঠিক করে কোন ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে, কোনটা নয়।”
কিন্তু প্রশ্ন হল, কারা সেই ‘বিশেষজ্ঞ’ যারা নেজাজি সুভাষের জন্মবার্ষিকী ও প্রজাতন্ত্র দিবস একসাথে উদযাপনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও বাংলার ‘সুভাষ’ ট্যাবলোকেই বাদ দিয়ে দেন?
শুধু তাই নয়, নির্মলা জানিয়েছেন কুচকাওয়াজের জন্য নির্ধারিত সময় সঙ্কুলানের কারণে ৫৬টি আবেদনকারী রাজ্যের মধ্যে মাত্র ২১টি রাজ্যকে বেছে নেওয়া হয়। যদিও বেছে নেওয়া কোন মাপকাঠির ভিত্তিতে, তার কোনও উল্লেখ করেননি তিনি। উপরন্তু ঘটনাচক্রে যে ৩ রাজ্যের ট্যাবলো এবার বাদ পড়েছে, সেই ৩ রাজ্যেই অর্থাৎ কেরল, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে হেরেছে কেন্দ্রীয় দল বিজেপি। এরপরেও নির্মলা সীতারমণ যেভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের নামাঙ্কিত ট্যাবলো বাদ দেওয়ার প্রতিবাদকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলছেন তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন অনেকের মনেই দেখা দিচ্ছে।
এটাকে নিছক ‘কাকতালীয়’ বলে মানতে রাজি নন তারা। কেননা, কেন্দ্রের থিম যদি ‘নেতাজি’ নির্বাচিত হয়, তবে ‘সুভাষ’ ট্যাবলোরই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যসরকারও থিম নির্বাচন করেছিল। নাকি রাজনীতির মাধ্যমে ‘টুপি’ পেয়ে ‘নেতাজি’-কেও নিজেদের সম্পত্তি ভাবছে কেন্দ্র? রাজনৈতিক মহলের একাংশ সেই প্রশ্নই করছেন।