একের পর এক মিউটেশন ঘটিয়ে চলেছে কোভিড- ১৯ ভাইরাস। তিন তিনটে ঢেউয়ে সারা পৃথিবীর মানুষকে একদিকে যেমন বিপর্যস্ত করেছে করোনা, তেমনই মিউটেশনের মাধ্যমে এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যের বদলও হয়ে চলেছে ক্রমাগত। ওমিক্রন, ডেল্টাক্রন হয়ে এইমূহুর্তে চিন্তা বাড়াচ্ছে স্টিলথ ওমিক্রন।
তবে এই স্টিলথ ওমিক্রন আসলে ওমিক্রন BA2-রই প্রতিরূপ, মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। চিন, ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সংক্রমণের হার ফের বাড়ছে। তবে কি বিদায় নিয়েও নিচ্ছেনা কোভিড! জুন-জুলাই মাস নাগাদ এই স্টিলথ ওমিক্রনই বাড়াবাড়ি চেহারা নেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহলের একাংশ। তাহলে যে চতুর্থ ঢেউ এড়ানো গেছে বলেই অনেকে জানাচ্ছিলেন! সেটা কি আবারো ফিরে আসতে পারে?
কোভিড এভাবেই বদল ঘটিয়ে চলবে এবং আমাদের জীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ হয়েই থাকবে একথা নিশ্চিত করলেও বড় অংশের গবেষকদের মতে ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়েছে বলে আশ্বস্ত করেছিলেনAIIMS ও সফদরজঙ্গ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এছাড়াও টিকাকরণের হারবৃদ্ধির কারণে চতুর্থ ওয়েভের সম্ভাবনাও খুবই কম বলে মনে করছিলেন তাঁরা। তার মধ্যেই গবেষকদের একাংশ সতর্ক করলেন স্টিলথ ওমিক্রণ সম্পর্কে। চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জিলিন প্রদেশে নতুন করে ৮৯৫ জন আক্রান্তকে পরীক্ষা করে দেখেছেন, যাঁরা এই নতুন ভ্যারিয়ান্টের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।
ওমিক্রনের এই নতুন স্ট্রেন কতটা সংক্রামক তা এখনই বোঝা যাচ্ছেনা। তবে তা যদি সত্যিই মারাত্মক রূপ নেয় তবে চলতি বছরের জুন বা জুলাইতেই আরেকটি ওয়েভের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলেই আন্দাজ করছেন কানপুরের একদল গবেষক। যদি এই ওমিক্রনের সংক্রমণ তীব্র রূপ নেয় তবে তা ১৫ থেকে ৩১ আগস্ট মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে, তারপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ আবার কমে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এমনটাই কানপুরের গবেষকদের অনুমান। স্টিলথ ওমিক্রনের সংক্রামক ক্ষমতা কেমন, মানুষের প্রতিরোধ তার সঙ্গে কেমনভাবে যুঝতে পারে, গোটা ব্যাপারটাই তার ওপর নির্ভর করছে।