আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতা গিয়াসউদ্দিনের কুশ্রী বাক্যালাপ ও হুমকির ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড়। ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজ্যে তাঁর দলের সদস্য বা প্রতিনিধিরাও যে রেহাই পাচ্ছেনা, তার একাধিক দৃষ্টান্ত দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি কিছু পাল্টা প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে যায় যেখানে এক ছাত্রকে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও খুনের হুমকিও দিতে শোনা যাচ্ছে। যদিও এই ভিডিও সংবাদমাধ্যম দ্বারা যাচাইকৃত নয়। এই ভিডিও ঘিরে শোরগোল শুরু হয় গোটা রাজ্যে। তবে তৃণমূল ছাত্রসংগঠনের তরফ থেকে এই ঘটনার নিন্দা করে বলা হয়েছে, “এটা টিএমসিপির সংস্কৃতি নয়।”
ভিডিওতে শনাক্ত করার পর জানা যায় গিয়াসউদ্দিন মন্ডল নামের এই প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে কিছুদিন আগেই বহিষ্কৃত করা হয়েছিল। এদিন কয়েকজন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্য মহম্মদ আলির ঘরে ঢুকে ‘পিএইচডির ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের’ অভিযোগ তুলে শাসানি দিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলে, “এবার ডাক, এখান থেকে ফোন কর। আলিয়ার এই বেহাল অবস্থা তে করেছে? বল…।”
অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেও ছাত্রনেতার এই ভাষাভঙ্গীকে সমর্থন করছেননা কেউ। ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তারের উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে। কটূকথা বলেছে, গ্রেপ্তার হয়েছে।” পাশাপাশি প্রশ্ন রেখেছেন, “ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। বিশ্বভারতীতে যা ঘটছে তাতে উপাচার্য গ্রেপ্তার হয়েছে কী?”
এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠস্বরে ষড়যন্ত্রের কথা শোনা গিয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “শুধু ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা ঘটিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কাউকে মেরে নবান্ন অভিযানের চেষ্টা করা হচ্ছে…।” এসবই যে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সেই ইঙ্গিতই মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তবে কি সাবোটাজ ঘটছে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে? প্রশ্ন সেটাই।