বিশ্বে চলছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। দুনিয়ার সবকটি দেশ তাকিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতির দিকে। ঠিক সেই সময়েই প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি বৃহত্তর পরীক্ষা সাফল্য লাভ করল ভারত। শনিবার পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপিত হলো রাশিয়া ও ভারতের মিলেত উদ্যোগে তৈরি উন্নত প্রযুক্তিবিশিষ্ট সুপারসনিক মিসাইল ‘ব্রহ্মস’-এর আরো একটি উন্নত সংস্করণ।
ভারত-রাশিয়ার সম্মিলিত উদ্যোগে নির্মিত এই সুপারসনিক মিসাইলটি ভারতের নদী ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার নদী মস্কোভার নাম মিলিয়ে রাখা হয়েছিল। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের কথা জানিয়ে এদিন বলা হয়, “দূরপাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ যে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, এইদিনের পরীক্ষা সেটা নিশ্চিত করে দিয়েছে। এই পরীক্ষার ফলাফল আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে যোগ করল আরো একটি পালক।”
উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন এই ক্রুজ মিসাইল ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’-এর মাধ্যমে উৎক্ষেপিত করা হয়। এর ফলে ভারতীয় নৌবাহিনী আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সন্দেহ নেই। এই মিসাইল মূলত নৌসেনাদের ব্যবহারের জন্যই নির্মিত। দীর্ঘদিন ধরেই ‘ব্রহ্মস’ ক্রুজ মিসাইল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছিল নৌবাহিনী। ২০০৫ সালে প্রথম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি হয়। কয়েকবার সফল পরীক্ষার পর গতমাসেই চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফলতা পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে জলযুদ্ধে এই ক্ষেপণাস্ত্র অপ্রতিরোধ্য।
এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল, এটি শত্রুপক্ষের সাবমেরিন অর্থাৎ জলের নিচে থাকা ডুবোজাহাজেও নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের বস্তুকে আঘাত করতে পারে দ্রুতগামী এই ক্ষেপনাস্ত্র — ‘ব্রহ্মস’।
এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আর্থিক দিকেও লাভবান হতে চলেছে ভারত। ইতিমধ্যেই ফিলিপিনসের প্রতিরক্ষা বিভাগ এই মিসাইল ভারতের কাছ থেকেই কিনবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।