ঘুমোতে গিয়ে বিছানা নিলেও আচমকা গোড়ালির পেছনে টান ধরছে! অথবা ঘুমন্ত অবস্থাতেই পাশ ফিরতে গিয়ে পায়ের কাফ মাসলে টান! অসহ্য যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠছে কয়েক মূহুর্ত! এটাই মাসল ক্র্যাম্প। তৎক্ষণাৎ সুরাহা মেলার জন্য উপায় থাকলেও আগে বোঝা দরকার ঠিক কী কারণে মাসল ক্র্যাম্প হয়।
মাসল ক্র্যাম্পের মূল কারণ হলো ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জলের অভাব। এছাড়া পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে মাসল ক্র্যাম্প সমস্যার আকার ধারণ করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কী করলে এর থেকে চট করে সুরাহা এবং সার্বিক নিরাময় দুটোই সম্ভব।
জল খান বেশি করে। এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা, জলের অভাব হলে জল তো খেতেই হবে। কিন্তু নিয়ম করে পরিমিত জলপানে অনেকেরই অনাগ্রহ কাজ করে। সেক্ষেত্রে যখনই জল খাবেন উষ্ণ গরম জল খান, লেবু অথবা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে উষ্ণ গরম জলের তাপমাত্রা রক্তের তাপমাত্রার সমতূল্য তাই এভাবে জল পান করলে তা চট করে শরীরের মাংসপেশিতে সঞ্চারিত হয়।
খাবারের তালিকায় রাখুন পালংশাক, দুধ, দই, কলা, মিষ্টি আলু –এই খাদ্যগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। আর ম্যাগনেসিয়ামের অভাব মেটাতে মাছ, পালংশাক, মুসুর ডাল, কুমড়োর বীজ ও ডার্ক চকলেট বেশি করে খান, বাদাম, ঝোলাগুড় খেতে পারেন। এটা গেল একটা দিক। এখন প্রশ্ন হলো মাসল ক্র্যাম্পে তৎক্ষণাৎ সুরাহা মিলবে।
যদি পায়ের মাসল ক্র্যাম্প দেখা দেয়, তবে উঠে খানিক হাঁটাচলা করলেই রেহাই মিলবে। তবে পায়ের মাংসপেশি ছাড়াও চলতে ফিরতে কোমরেও মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে জায়গাটিতে টান ধরেছে সেই নির্দিষ্ট পয়েন্টটি হালকা চাপ দিয়ে স্ট্রেচিং করতে থাকুন।
এর সাথে মালিশ করলেও অনেকটা রিলিফ পাওয়া সম্ভব। ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। তবে আসন করার আগে অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ মেনে তবেই করবেন।