ঘটনাটি দীপ্তাংশু চৌধুরীর কল্যাণে এখন সকলেই জেনে গিয়েছেন। লক্ষ্য করেছেন আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী, শুধু লক্ষ্য করেননি সুকান্ত মজুমদার নিজে যে, তিনি একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামীর আত্মীয়কে পাশে বসিয়ে প্রেস কনফারেন্সে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছেন! বিজেপির রাজ্যসভাপতির এই পদক্ষেপে আশ্চর্য বঙ্গবাসী। সেই ব্যাপারটাই খোলাসা করে ট্যুইট করেছিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা দীপ্তাংশু চৌধুরী। আর এবার একেবারে কাছা টেনে খুলে দিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
ঘটনা হল , প্রেস মিটে সুকান্তর প্রতিবাদী চেয়ারের ঠিক পাশের চেয়ারে যাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে তিনি বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। যার ভাইপো সহদেব ঘোড়ুই ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলাতক। দুর্গাপুরের স্থানীয় মহলে যার বিরুদ্ধে গণ প্রতিবাদ চলছে, দাবি উঠেছে ‘সহদেবের শাস্তি চাই!’ এদিকে কাকার প্রভাবে এবং কেন্দ্রীয় শাসকের মদতে সে দিব্যি পালিয়ে ফিরছে!
দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা দীপ্তাংশু সম্প্রতি দলীয় কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ। তিনিই চোখে আঙুলটা প্রথম দেখিয়ে ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যেই বলেন,”যিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত ভাইপোকে আইন থেকে আড়াল করছেন, আগে তাদের সামলান, তারপরে প্রেস বৈঠক করবেন।” দীপ্তাংশুর এই ট্যুইট ঘিরে গত দুই দিনে বারুদের স্তুপ জমেছে রাজনৈতিক মহলে। সেই বারুদের স্তুপেই ইন্ধনটা এবার যুগিয়ে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন দোসর বাবুল সুপ্রিয়।
তিনি দীপ্তাংশুর ট্যুইটের প্রেক্ষিতে রিট্যুইট করে বিজেপিতে থাকাকালীন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “নিজের ভাইপো আড়াল করা শুধু নয়, নির্যাতিতার বাড়িতে মহিলা মন্ডলী পাঠিয়ে তাঁর পরিবারকে নানা ভাবে প্রভাবিত করার জন্য, রাজ্য বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকে আমি অনুরোধ করেছিলাম ওই বিজেপি নেতাকে অন্ততঃ শোকজ করতে… কিছুই হয়নি।”
রাজনৈতিক বাতাবরণ যে এসব কারণেই দূষিত হচ্ছে সেই উল্লেখ করে স্পষ্ট ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন বাবুল সু্প্রিয়। কারণ এখন তিনি তৃণমূল শিবিরে চলে এলেও আজ এইকথা শুধু তিনি একা বলছেননা। বলছেন স্বয়ং বিজেপি বিধায়ক। বাবুলের বক্তব্যে সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।