কিছুদিন আগেই প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কবীর সুমন। এক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিককে ‘আরএসএস’-র পৃষ্ঠপোষক বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়েছিলেন, যেই অডিওটি ফাঁস হওয়ার পর চরমে উঠেছিল সুমনের সমালোচনা। খোদ কবি শ্রীজাত ফেসবুক ওয়াল প্রতিবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এদিন আবারো এক বিতর্কিত পোস্ট করায় নিন্দা ছড়ালো কবীর সুমনকে ঘিরে। তাঁর আচরণে হতবাক শিল্পী ও ভক্তমহল।
খবরসূত্র অনুযায়ী নিজের ফেসবুক ওয়ালে ‘পূর্বা’ শিরোনামে একটি কবিতা পোস্ট করেছিলেন কবীর সুমন। অনুমান করা হয়েছে, এই কবিতা শ্রীজাতর স্ত্রী দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা। যদিও এটা প্রামাণ্য নয়।
‘পূর্বা’-র সাথে গোপন শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত তুলে কবিতাটি অত্যন্ত অশালীন ভঙ্গিমায় লেখা হয়েছে। লেখাটি চোখে পড়ার পর থেকেই সোচ্চার হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ সরাসরি নাম করে কবীর সুমনকে নিন্দিত করেছেন, কেউ আকারে ইঙ্গিতে।
তবে কবীর সুমনের এহেন দুর্ব্যবহারকে ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি’ বলেই অভিহিত করেছেন সবাই। ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠায় কবীর সুমন পোস্টটি ডিলিট করে দেন বলেই খবরে প্রকাশ। তবে সুমনের লেখার জবাবে আরো একটি ছোট কবিতা ফেসবুকে লিখেছেন তসলিমা নাসরিন, সেটিও অবশ্য শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছে।
তসলিমা একেবারে সরাসরি নাম দিয়েই জানিয়েছেন ‘এই কবিতাটি কবীর সুমনের পূর্বা কবিতার প্রত্যুত্তরে লেখা।’
প্রতিবাদ আরো অনেকেই করেছেন। সাহিত্যিক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, “আমি বলেইছিলাম কবীর সুমনের একদম মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে গেছে, ছিঃ!” অভিনেতা রাহুল সুমনকে বিদ্ধ করে বলেছেন, “মানুষ হওয়া ছেড়েছো তো অনেক আগেই। তোমার কি জন্তু হতে ভালো লাগে?”
কবীর সুমনের অনেক ভক্তও তাঁর এই ধরনের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এতবড় প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্বের এমন অবনতি মেনে নিতে পারছেননা , সেটাই নিজস্ব ভঙ্গিতে তারা ব্যক্ত করেছেন।