সরকারের নির্ধারিত মাপকাঠির চেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে, অথচ ফ্রিতে রেশন নিয়ে চলেছেন এমন ব্যক্তি বিরল নন। এই ব্যাপারটি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি এড়ায়নি। সুতরাং কয়েকটি নিয়ম নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে সেইসব গ্রাহকদের, যাঁদের আর্থিক সংগতি থাকা সত্ত্বেও সরকারের এই বিশেষ সুবিধার ভোগ করে চলেছেন।
অতিমারি চলাকালীন আর্থিকভাবে দুঃস্থদের সাহায্যার্থে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া চালু করেছিল কেন্দ্র। লকডাউন না থাকলেও জীবিকার অস্থিরতা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এখনও এই পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে অতীতে দেখা গিয়েছে এবং এখনও কিছু ক্ষেত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে আর্থিক সংগতি রয়েছে , অথচ সেটা গোপন করেই বিনামূল্যে রেশন তুলছেন প্রচুর লোকজন। অপরপক্ষে সত্যিই যাঁরা দুঃস্থ এমন অনেকেই বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেননা। তাই রেশনের উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট করার জন্য কয়েকটি নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্ক্রুটিনিও চলছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ন্যুনতম ১,০৭৬ স্কোয়্যারফিটের জমির অধিকারী হলে সেই ব্যক্তি বিনামূল্যে রেশনের জন্য বিবেচিত হননা। নিজস্ব ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকলে, নিজস্ব গাড়ি বা ট্র্যাক্টর থাকলে সেইসকল ব্যক্তি ফ্রি রেশনের যোগ্য নন। পারিবারিক রোজগারের ক্ষেত্রেও সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট মাপকাঠি দেওয়া রয়েছে। গ্রামের ক্ষেত্রে বার্ষিক রোজগার ২ লক্ষ টাকা এবং শহরের ক্ষেত্রে বার্ষিক রোজগার ৩ লক্ষ টাকার বেশি হলে সেই ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট পারিবারিক সদস্য ফ্রি রেশনের জন্য নির্ধারিত নন। সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় এই নিয়মগুলি স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে।
এই নিয়মগুলি অমান্য করে যাঁরা বিনামূল্যে সরকারি রেশন নিয়েছেন বা নিয়ে চলেছেন , অবিলম্বে তাঁদের কার্ড সারেন্ডার করতে বলা হয়েছে। যদি তা না করেন, তবে স্ক্রুটিনিতে ধরা পড়লে সেই রেশন উপভোক্তাদের রেশন কার্ড বাতিল এমনকি জরিমানা সহ আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে। এই মর্মেই সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার।