বুধবার রাত্তিরে তীব্র ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত উত্তরপূর্ব উপকূল সংলগ্ন অঞ্চল। গতকাল রাত ৮টা নাগাদ এই তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয় যার ফলে গোটা অঞ্চলের বিদ্যুৎব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২, আহত হয়েছেন ১০০-রও বেশি মানুষ।
জাপানের উত্তরপূর্ব উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে বুধবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আফটার এফেক্ট চলে আজ ভোর পর্যন্ত। ফুকুশিমা প্রিফেকচারের উপকূলে অনুভূত এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রায় ৬০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেল অনুযায়ী ভফকম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৩। এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার টোকিওর কাছাকাছি বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন ।
টোকিও থেকে ২৯৭ কিলোমিটার দূরত্বে উত্তরপূর্ব উপকূল সংলগ্ন ফুকুশিমায় পরপর বেশ কয়েকবার তীব্র ভূকম্পন দেখা দেয়। মৃত দুই ব্যক্তি এবং আহত শতাধিক বলে আপাতত জানা গিয়েছে। তবে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিদ্যুত ব্যবস্থা। প্রায় ২০ লক্ষ ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ সংযযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।জাপানের রেনেসাঁস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এই মূহুর্তে ৩টি প্লান্টের পর্যবেক্ষণ করছেন। ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষয়ক্ষতিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ছাড়াও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষজন। এদিকে ভূমিকম্পের পরেই ফুকুশিমায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। উপকূলে প্রায় ১মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানান।
এর আগে সবচাইতে বড় আকারের ভূমিকম্প দেখা গিয়েছিল জাপানেই। সেটা ছিল ২০১১ সাল। সেইসময় ভূমকম্পের মাত্রা ছিল ৯.০০ রিখটার স্কেল। সেই তুলনায় ঠিক ততটা তীব্র না হলেও এবারের ভূমিকম্প প্রায় তার সমতুল্য বলেই মনে করা হয়েছে।