আজ দুপুরের পর উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। উদ্ধারকার্য এখনও চলছে। আহত প্রচুর মানুষ। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
এদিন ময়নাগুড়ি সংলগ্ন দোমহনীতে বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেসের ৬ টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ব্যাপক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আনুমানিক বিকেল ৫টার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলেই খবরে প্রকাশ। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আর.এম দিলীপ কুমার সী। আচমকা ব্রেক কষার ফলেই ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে প্রত্যেকটি অন্যটির উপরে যায় উঠে যায়। বগিগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের দেহ ভেতর থেকে বের করে আনাই দুষ্কর হয়ে উঠছে। কিন্তু ট্রেনটি অমন আচমকা ব্রেক কষেছিল তার কারণ এখনও পর্যন্ত অজানা।
বিকেলবেলা আইজি নর্থ বেঙ্গল ও অন্যান্য আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেয় নবান্ন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিও নির্দেশমতো তৈরি। বিকেলে পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩ ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই অনুমান। আহত ২০০ জনেরও বেশি।
ইতিমধ্যেই ট্যুইটার মারফত গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্বর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সন্ধে গড়ানোর সাথেসাথেই আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে।কোচবিহারের ১৬ টি অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধারকার্য শুরু করে দেয়। জেলার এসপি জানান, ২০জন পুলিশের একটি টিমও ড্রাই ফুড ও দরকারি জিনিস নিয়ে রওনা হয়ে গিয়েছিল তখনই। রাতের দিকে ডিসি নিজে ময়নাগুড়ি পৌঁছে যান।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রাত সাড়ে ৯টায় ট্যুইট করে জানান, “আমি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেকেই ট্যুুইটার মারফত সমবেদনা জানিয়েছেন।