দশচক্রে ভগবান ভূত হয়। একেই বুঝি কালচক্র বলে! সময় এভাবেই অতীতকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরিয়ে বর্তমানে এনে ফেলে। ঔপনিবেশিক ভারতে যে চরকা ছিল মহাত্মা গান্ধী তথা গোটা ভারতের অহিংস প্রতিবাদ, সেই চরকা হাতে ছুঁয়ে পরীক্ষা করে দেখে শিহরিত হয়ে উঠলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভাবা যায়!
দুদিনের সফরে ভারতে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রথম গন্তব্যই ছিল গুজরাত।
ভারতের স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারত সফরে এলেন। ভারতে পা রেখেই বরিস জনসন ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে এসে দারুণ লাগছে। আমাদের দুই দেশ একসাথে যৌথভাবে বিরাট সম্ভাবনাকে স্পর্শ করতে পারে। ভবিষ্যতে এই পারস্পরিক সহযোগিতা আরো মজবুত করতে চাই।”
আহমেদাবাদ হয়ে তিনি সরাসরি সাবরমতী যান, গন্তব্য গান্ধী আশ্রম। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল এবং আশ্রমের ট্রাস্টি কার্তিকেয় সারাভাই স্বাগত সম্ভাষণ জানিয়ে আশ্রম পরিদর্শন করান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রথমেই মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এরপর প্রায় আধঘন্টা সময় ধরে সাবরমতী আশ্রম ঘুরে দেখেন তিনি। ফেরার আগের মূহুর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চরকা দেখেই মুগ্ধ ও শিহরিত হয়ে চরকায় বসে পড়েন। ভারতের স্বাধীনতার অহিংস সংগ্রামের দেশীয় প্রতিবাদের প্রতীক চরকা হাতে পেয়ে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার কথা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সাবরমতী আশ্রমের ভিজিটার্স বুকে তিনি লিখেছেন, “দুনিয়ায় বদল আনতে এই অসাধারণ মানুষটি কীভাবে সত্য ও অহিংসার সহজ সরল নীতিকে কাজে লাগিয়েছিলেন, আশ্রমে এসে তা উপলব্ধি করে সমৃদ্ধ হলাম।”
সাবরমতী আশ্রমের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হাতে দুটি বই ও একটি চরকার শোপিস উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া হয়েছে।