সম্প্রতি জম্মুও কাশ্মীরের বেমিনাতে জঙ্গিহামলার বড়সড় ষড়যন্ত্র বাঞ্চাল করল পুলিশবাহিনী। ৪টি পিস্তলসহ বেশকিছু অস্ত্রও জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান এই সন্ত্রাসবাদীরা শ্রীনগরে হামলার চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। তবে পুলিশি সক্রিয়তায় সেই পরিকল্পনা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আটক সন্ত্রাসবাদীদের সাথে লস্কর জঙ্গিদের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। বেমিনায় বসেই ষড়যন্ত্রকারী এই ৪ লস্কর জঙ্গি শ্রীনগরে হামলার ছক কষছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সত্বর অভিযান চালিয়ে ৪টি পিস্তল ও অস্ত্রসামগ্রী সমেত তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের আগে শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় ‘লস্কর হাইব্রিড’ সন্ত্রাসবাদী তার এক সহকারীকে আটক করেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদেরছকাছ থেকেও প্রচুর অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা টয়। এই ২ সন্ত্রাসবাদীদের একজন বারামুল্লার আশিক হুসেন লেনের অধিবাসী হায়দার মোল্লা এবং অপরজন হলো উজাইর আমিন গণি, বারামুল্লার কাঁথবাগের অধিবাসী।
এরপর কাশ্মীর জোন পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার মারফত জানায়, “কুলগাম পুলিশ এবং ৩৪ রাইফেলসের সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবার হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী ইয়ামিন ইউসুফ ভাটকে গ্রেপ্তার করেছ। ধৃত ইউসুফ গাদিহামা কুলগামের বাসিন্দা।”
পুলিশ আরো জানায়, “সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ পিস্তল, দুটি গ্রেনেড এবং ৫১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।”
প্রশ্ন উঠছে ‘হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী’ কারা? ‘হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী’ হলো তারা — জঙ্গি সংগঠন যাদের শুধুমাত্র একটি বা দুটি অভিযান চালানোর জন্য ব্যবহার করে থাকে। সংগঠন তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে অপেক্ষায় রেখে দেয়। কোথাও আচমকা কোনও সন্ত্রাস ঘটানোর সময়ে এদের ওপর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।
বেশকিছুদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদীদের’ অভ্যুদয় ঘটেছে এবং ক্রমশ তাদের সংখ্যা বাড়ছে। এই সন্ত্রাসবাদীর মূলত রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ নাগরিক ও কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের টার্গেট করেই হামলা চালাচ্ছে।
তবে এদের সাথে সমানতালে টক্কর দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। সম্প্রতি ২ জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকেই তাঁরা প্রমাণস্বরূপ তুলে ধরেছেন।