চাকরি পাওয়া কঠিন, একথা সত্য। বিশেষ করে লকডাউনের পরে ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এই পরিস্থিতিকে আরো খারাপ তুলেছিল। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, রোজগারের চিন্তায় মানুষের পাগল পাগল দশা! এমনই এক সময়ে ফুচকার দোকান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেমে পড়েন নদীয়ার এমএ পাশ মেয়ে শিম্পি সাহা। এখন তাঁর ফুচকার দোকান রমরমিয়ে চলছে।
কৃষ্ণনগরের শক্তিগড়ে থাকেন শিম্পি সাহা। ইনি এমএ পাশ করেছেন। বর্তমানে সরকারি চাকরির জন্য কম্পিটিটিভ এক্সামেরও প্রস্তুতি নিয়ে চলেছেন, চলছে জোরকদমে পড়াশোনা। পাশাপাশি পরিবারের রোজগারের সুবিধার্থে নিজেই একটি ফুচকার দোকান খুলে বসলেন।
স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে শিম্পি সাহা অনেকের কাছেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন। দূর দূরান্ত থেকেও লোকজন তাঁর ফুচকার দোকানে এসে ভিড় জমিয়ে তুলছে। শুরুতে সংকোচ হয়নি?
প্রশ্নের উত্তরে শিম্পি সাহা জানান, সেটা একটু হচ্ছিল। প্রথমে এই ভাবনাটাই পথরোধ করে দাঁড়াচ্ছিল। ‘লোকে কী বলবে!’ এই চিন্তা এসেছিল। তবে নিজের ক্ষমতায় নিজে কিছু একটা করবার অদম্য জেদের কাছে সবকিছুই হার মেনে যায়।
শিম্পি সাহার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটেছে। এই কাজের জন্য তিনি প্রচুর প্রশংসা পাচ্ছেন। বিশেষ করে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়েরা। খবরসূত্র অনুযায়ী এই দোকানটি শক্তিনগরের দোগাছি বরাবর কাঁঠালতলা শনি মন্দিরের কাছে। শিম্পি সাহা জানান, সবকিছু ঠিকঠাক চললে ভবিষ্যতে একটি ক্যাফে খুলতে চান।
এই দুঃসময়ে শিম্পি সাহার মতো শিক্ষিতা তরুণী সকলেরই অনুপ্রেরণা হতে পারেন। ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে মেয়েদের স্বনির্ভর কাজে একলা নেমে পড়ার বহু ছবি সামনে আসছে। নদীয়ার এই মেয়েটি সেই ছবিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।