দিনটা ছিল শনিবার। ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সের একটি বিশেষ দল পুলওয়ামার নাইরা গ্রামে গোপন করে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্যে অপারেশন চালায়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সূত্রে গাঢাকা দিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ডেরার সন্ধান পাওয়া মাত্রই কৌশলি তৎপরতায় বাড়িটির সাধারণ মানুষজনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন সেনারা। ততক্ষণে জঙ্গিরাও বুঝে ফেলেছে, পরিত্রাণের পথ নেই। অতর্কিতেই সেনাবাহিনীর দিকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে তারা। পাল্টা গর্জে ওঠে সেনাবাহিনীর বন্দুকও । আর এই মুখোমুখি গুলি হামলা চলাকালীনই অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন ‘গড়ুর’ স্পেশাল ফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার সন্দীপ ঝাঁঝারিয়া।
‘গড়ুর’ স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা ২০১৭ সালে পুলওয়ামা অপারেশনের জন্যই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, শনিবার সন্ধে ৭ টার জমাট অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে তল্লাশি চালাতে শুরু করে ‘গড়ুর’ স্কোয়াডের সেনাবাহিনীরা। সন্ত্রাসী জঙ্গিদের গুপ্ত ডেরা যখন সম্পূর্ণ ঘিরে ফেলেছে সেনারা, ঠিক তখনই আচমকা গুলিবর্ষণ করতে থাকে জঙ্গিরা। এই আচমকা হামলায় গুরুতর আহত হন স্কোয়াড্রন লিডার সন্দীপ ঝাঁঝারিয়া। তবুও তিনি দমেননি। বুকে এবং বাঁহাতে গুলি বিঁধে গেলেও সেনাদের নেতৃত্ব দিয়ে পাল্টা হামলা চালিয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই বন্দুক উঁচিয়ে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে বন্দুক তুলে গুলি চালাতে থাকেন সন্দীপ। বুকে হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছেন তিনি নিজেই। বাকি ১ জনও সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। ভারতীয় সৈনিক সন্দীপ ঝাঁঝারিয়ার এই অশেষ বীরত্ব সেনাবাহিনীকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভারতের জাতীয়তাবোধে উদ্দীপ্ত এই জওয়ানের ঋজু ভঙ্গিতে শত্রুনিধন, পথনির্দেশ হয়ে জ্বলজ্বল করছে।