জরুরি অবস্থায় ট্রেনের সময়সূচিতে বদল ঘটলেও এখনও পুরোপুরি মিটছেনা সংশয়। এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে যাত্রীদের মনে।
রাজ্যের উর্দ্ধমুখী করোনা গ্রাফের ফলে রবিবার দুপুরেই বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যসরকার। সেই মতো অন্যান্য নিয়মের পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় — সোমবার থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দিনের শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে সন্ধে ৭টায়, সন্ধে ৭টার পর আর ট্রেনে সফর করা যাবেনা এমনটাই বলা হয়েছিল। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছিল রাত ১০টা থেকে নাইট কার্ফ্যু বলবৎ করা হবে।
এই ঘোষণার পরেই বিভ্রান্তি শুরু হয়ে যায়। পূর্বরেলের তরফে জানানো হয়েছিল ৭টায় শেষ লোকাল ছাড়বে, আর দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছিল ৭টায় সমস্ত ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছবে। এই বিভ্রান্তির মধ্যেই সোমবার সন্ধে নাগাদ হাওড়া শিয়ালদা বালিগঞ্জ সহ বড় বড় স্টেশনে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শেষ ট্রেনে ওঠার জন্য উপচে পড়ে যাত্রীসাধারণের ভিড় আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে কোথাও!
ফলে এইদিন সন্ধেতেই জরুরি পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেনের সময়সূচি বাধ্য হয়েই বদল করতে হয়। সেইমতো আজ থেকেই শেষ লোকাল ট্রেনের সময়সীমা বাড়ানো হয়ছে রাত ১০টা পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সন্ধে ৭টার বদলে লোকাল ট্রেন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত, এমনটাই বলা হচ্ছে। যদিও এখানেই যাত্রীদের পুরোপুরি বিভ্রান্তি কাটছেনা।
রাত ১০টার ট্রেন ধরলে অনেকেই তো তারপরেও রাস্তায় থাকবেন। তাহলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাত ১০টা থেকে বলবৎ হওয়া কার্ফ্যু! তার কী হবে? একই সঙ্গে বিভ্রান্তি কাটাতে যাত্রীদের জন্য একটি সঠিক সময়সূচির তালিকারও অবশ্যই প্রয়োজন।