ছোট্ট মেয়েটি রাষ্ট্র কী তা জানেনা। শাসনতন্ত্র-প্রজাতন্ত্র কিছুই বোঝেনা। এই তো সবে কথা ফুটেছে। পৃথিবী বলতে জেনেছে বাবা মা -কে। আচমকাই সে শুনলো তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হবে। বাবা যেতে পারবেনা! রাষ্ট্রের নিষেধ। বিদায় মূহুর্তে কান্নায় ভেঙে পড়ল দুজনেই। আর উন্নত বিশ্বের উন্নত যোগাযোগ মাধ্যমে সেই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ল মূহুর্তেই! যাঁরা এই ভিডিও দেখছেন, তাঁরাও ধরে রাখতে পারছেনা চোখের জল।
১৯৪৪ সালে ইউএনও -র চুক্তি ছিল পরবর্তী প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহ বিভীষিকা থেকে রক্ষা করা হবে। ইউক্রেনের এই ছোট্ট মেয়েটির চোখের জলে সেই অবোধ্য ভাষাই ঘুরপাক খাচ্ছে — প্রশ্ন করছে রাষ্ট্রনেতাকে! কেন এই যুদ্ধ?
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোনও পুরুষ ইউক্রেন ছেড়ে যেতে পারবেননা। যুদ্ধে তাদের অংশ নিতে হবে কিনা এখনও জানানো হয়নি, তবে প্রয়োজন হলে ইউক্রেন সরকারের কড়া নির্দেশে যুদ্ধে অংশ নিতে হতেও পারে। আর এই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনেই বাবাকে ছেড়ে রেখে মায়ের সাথে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে ছোট্ট একটি মেয়ে। কবে আবার দেখা হবে কোনও ঠিক নেই! আদৌ দেখা হবে তো? নিশ্চয়তা নেই তারও। ‘যুদ্ধ এসেছে।’
যুদ্ধ এসেছে — আপাত সরল এই শব্দবন্ধে লুকিয়ে সাম্রাজ্যবাদের কূটনৈতিক ষড়যন্ত্র। ছোট্ট মেয়েটি এতসব বোঝেনা। বাবাও বোঝাতে পারছেননা তাঁর মেয়েকে। বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুজনেই। মা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেও পারছেনা। এই দৃশ্য আজ নেটমাধ্যমে বিশ্বের মানুষজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যুদ্ধকামী রাষ্ট্রনেতা এই দৃশ্য দেখেছেন কি!
⚠️#BREAKING | A father who sent his family to a safe zone bid farewell to his little girl and stayed behind to fight …
#Ukraine #Ukraina #Russia #Putin #WWIII #worldwar3 #UkraineRussie #RussiaUkraineConflict #RussiaInvadedUkraine pic.twitter.com/vHGaCh6Z2i
— New News EU 🚨 (@Newnews_eu) February 24, 2022