স্কুটিতে যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা দেওয়ায় গ্যারাজে সারাতে দিয়ে যান স্কুলটির মালিক। কিন্তু গ্যারাজের মেকানিকরা স্কুটির সামনের হেডলাইটের বক্সটি খোলামাত্রই শিউরে ওঠেন। কী ওটা?
সারানোর প্রয়োজনে স্কুটির সামনের ঢাকনা খুলতেই মেকানিকদের শিরদাঁড়া বেয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়। ভয়ে হাতপা ঠান্ডা হবার অবস্থা!
ঢাকনা খুলে তারা দেখেন স্কুটির লাইট বক্সের মধ্যে পেঁচিয়ে এক ভয়ানক বিষাক্ত সাপ! চাঞ্চল্যকর খবরটি দ্রুত মালবাজার ওদলাবাড়ি অঞ্চলে মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
ওদলাবাড়ি একটি গ্যারেজে স্কুটিটি সারাতে আসেন পাহাড়ির এলাকারই এক অধিবাসী। গ্যারাজের মালিক রাজেশ মন্ডল জানান , “সোমবার দুপুরে পাহাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যাক্তি দোকানে স্কুটি রেখে চলে যান। বলে যান স্কুটিটি সারিয়ে রাখতে। আমার এক কর্মচারী যখন স্কুটির সামনের ঢাকনা খুলে, তখন দেখতে পায় সবুজ রঙের একটি সাপ দলা পাকিয়ে রয়েছে। স্কুটি ছেড়ে পালিয়ে যান সব কর্মীরা।”
ওদলাবাড়ির এক সংস্থা ‘ন্যাস’ এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। এই সংস্থার সদস্য আশিক আলি এবং অনেকে মিলে বহু কসরত করে শেষপর্যন্ত সাপটিকে প্লাস্টিকের বয়ামে বন্দি করতে সফল হন। আশিক আলি জানিয়েছেন, “আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম এটা লাউডগা সাপ, কিন্তু পরে দেখতে পারি এটা সাংঘাতিক বিষাক্ত সাপ। তাও আবার পাহাড়ি এলাকার।”
তথ্য বলছে সাপটি বিরল প্রজাতির গ্রীন পিট ভাইপার। ভীষণই বিষাক্ত সাপ। অনেকে ‘সবুজ বোড়া’ সাপ বলে থাকেন। সাপটিকে প্রাণে মারা হয়নি। ‘ন্যাস’-এর সহায়তায় সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।