মহাকাশ গবেষকদের মতে, এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত তথ্য অনুযায়ী সৌরজগতে বিশেষ অবস্থানের ফলেই পৃথিবীর উদ্ভব। অর্থাৎ পৃথিবীর একচুল এদিক ওদিক স্থান পরিবর্তন হলেই প্রাণধারণের সম্ভাবনা কার্যত অসম্ভব হয়ে যেত। সেকারণেই সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় পৃথিবীর এক আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এতে অবশ্য মহাবিশ্বের রহস্য নিয়ে কৌতূহলের নিরসন হয়নি। পৃথিবীর মতোই আছে কি অন্য কোনও গ্রহ? যেখানে পৃথিবীর মতোই প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব! তাই নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। এই কৌকূহলকেই আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল সম্প্রতি পাওয়া এক গ্রহের সন্ধান। যেই গ্রহটি অবিকল পৃথিবীরই মতো! এই গ্রহটির নাম টাইটান। এর সূত্র ধরেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করে বলেছেন , আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই আরো এক দ্বিতীয় পৃথিবী রয়েছে ।
আমরা সকলেই জানি একটি গ্রহের অনেকগুলি উপগ্রহ থাকে , যেগুলি গ্রহকে আবেষ্টন করে থাকে। যেমন পৃথিবীর নিকটতম উপগ্রহ চাঁদ। তেমনই শনিকে বেষ্টন করে ৮২টি উপগ্রহ রয়েছে। তারই মধ্যে একটি হলো টাইটান, যাকে অনেকটাই পৃথিবীর মতো দেখতে। পৃথিবীর বেষ্টনীর সাথে শনির অনেকাংশে মিল থাকায় এই উপগ্রহটিকে শনির চাঁদ বলেই চিহ্নিত করছেন জ্যোতির্বিদরা। এখন প্রশ্ন হলো, দেখতে একরকম হলেও পৃথিবীর বৈশিষ্ট্যের সাথে টাইটানের কি কোনোরকম মিল আছে?
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন টাইটানে নদী, হ্রদ এবং সাগরের উপস্থিতি রয়েছে। বৃষ্টি এবং ঘনত্বপূর্ণ বায়ুমণ্ডলও লক্ষ্য করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
যদিও এই হ্রদগুলিতে জল নেই। তার বদলে তরল মিথেন রয়েছে। তবে নিরন্তর গবেষণায় বিজ্ঞানীরা শনির চাঁদে একাধিক রহস্যময় বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করছেন। এইসকল রহস্যই বিজ্ঞানীদের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে। দেখতে প্রায় অভিন্ন এই টাইটানে পৃথিবীর সাথে আরো কী ধরণের মিল রয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আগ্রহ সহকারে তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।