সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এক চিকিৎসক। এদিকে রাজ্যসরকারের দিক থেকে এই ব্যাপারে কোনও বক্তব্য না পাওয়ার সুযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, এই মেলার ব্যাপারে তৃণমূল সরকার ‘চক্ষুলজ্জার কারণে মুখ খুলতে পারছেনা। তাই পরোক্ষভাবে হাইকোর্টের ওপর দায় সেরে পাশ কাটাতে চাইছে।’
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণে কলকাতার পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার অনেক আগেই গঙ্গাসাগর মেলার উদ্যোগ আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর অর্থ ও প্রশাসনিক মোকাবিলার বন্দোবস্ত করে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলেই সরকারি তরফে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি কোভিড বিধি লঙ্ঘন না করে, বিধি নিষেধের বেষ্টনিতেই মেলা চলবে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও ৩-রা জানুয়ারি কলকাতায় বিধিনিষেধ কঠোর করা হলেও গঙ্গাসাগর নিয়ে রাজ্যসরকারের স্পষ্ট কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই অবস্থা চলাকালীনই আাদালতে মামলা করেছেন ডাক্তার অভিনন্দ মন্ডল।
গঙ্গাসাগরের মতো এত বড় একটি মেলা, যেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়, সেই মেলা এক্ষুনি বন্ধ করা উচিত এই আর্জিই জানিয়েছেন মামলাকারী। বিষয়টি এখন হাইকোর্টের বিবেচনাধীন।
এদিকে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মানুষের জীবনের গুরুত্ব বেশি। রাজ্যসরকার চক্ষুলজ্জায় গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে পারছেনা। তারা ২৫ ডিসেম্বর বন্ধ করতে পারেনি, কোভিড ছড়িয়েছে। এখন গঙ্গাসাগর বন্ধ করতে চক্ষুলজ্জায় বাঁধছে।”
তার প্রত্যুত্তরে অবশ্য কড়া কথাও শোনাতে ছাড়েনি সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরে ভিড় উপচে পড়ার উল্লেখ করে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
এই অভিযোগে খানিকটা ব্যাকফুটে সরলেও একেবারে দমলেননা সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মতে, “ত্রিপুরা আর বাংলার কোভিড পরিস্থিতি এক নয়, তৃণমূলকে আপাতত বাংলা নিয়ে ভাবতে বলুন।”