আপাতত কোভিড ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শেষের দিকেই মনে করা হচ্ছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে আরোপিত সমস্ত নিষেধাজ্ঞাই ১ লা এপ্রিল থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা করল রাজ্যসরকার।
পরিস্থিতি কিছুটা এমন –শুরুতে লকডাউনের রুজিরোজগারের বিপর্যয় ও কঠোর বিধিনিষেধ মানতে অসুবিধা হলেও, এক ঝটকায় সব নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়ে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসবে এই প্রস্তাবটাও অসম্ভব মনে করছেন সাধারণ মানুষজন। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, করোনার ভয় কি তাহলে আর থাকছেনা?
তাঁদের উত্তরে প্রথমত জানাতে হয়, সেফটি ফার্স্ট-এ গুরুত্ব দিলেও বিধিনিষেধ একাধিকবারই শিথিল করা হয়েছে সামাজিক প্রয়োজনেই। কোথাও সেটা রোজগারের তাগিদে, কখনও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে, আবার কখনো মানুষকে দমবন্ধ জীবন থেকে খানিকটা রিলিফ দিতেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়েছে সরকার। এটা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্ববর্তী এবং মধ্যবর্তী পর্যায়ে দেখা গিয়েছে। তাই বলে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা নেই এমনটা স্বয়ং গবেষকরাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেননা। তাঁরাও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবার পরামর্শই দিচ্ছেন।
প্রতিদিনকার সংক্রমণ ও তার সাথে যুঝবার ক্ষমতা, ৮০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ, স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি–এই বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করেই ১লা এপ্রিলের আগে অবধি প্রযুক্ত সমস্ত নিষেধাজ্ঞা এবং নাইট কার্ফ্যুও তুলে নেওয়া হচ্ছে। নির্দেশিকা জারি করে এই বার্তা দিয়েছে নবান্ন।
২ এপ্রিল রাজ্যে শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ ও আসানসোলে সংঘটিত হতে চলেছে উপনির্বাচন। কোনওরকম সামাজিক জমায়েতেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা থাকছেনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আদেশ অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি নির্ধারিত কোভিড বিধি ভঙ্গ করলেও তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবেনা।
তবে, কোভিড বিধি তুলে দিলেও সুরক্ষার কারণে প্রতিটি মানুষকেই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।